কেরলের সিআইএসএফ আধিকারিক নবীন কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
পুলিশ যতই জাল পাতুক না কেন, প্রতি বার তাদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যেত সোনা পাচারকারীরা। এক সময় পুলিশের সন্দেহ হতে শুরু করে যে, সর্ষের ভিতরেই ভূত রয়েছে। পুলিশ বা নিরাপত্তাকর্মীদেরই কেউ গোপনে যোগাযোগ রাখছে পাচারকারীদের সঙ্গে। তার সাহায্যেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে তারা।
শেষ পর্যন্ত সেই সন্দেহ সত্যি হল। ঘুষের বিনিময়ে সোনা পাচারকারীদের কম করে ৬০ বার পালিয়ে যেতে সাহায্য করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল কেরলের সিআইএসএফ আধিকারিক নবীন কুমারকে।
সম্প্রতি কালিকট বিমানবন্দরে সোনা-সহ চার পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই নবীন কুমারের খোঁজ মেলে। মলপ্পুরম পুলিশ নবীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
তদন্তে জানা যায়, অন্তত ৬০ বার পাচারকারীদের সাহায্য করেছে ওই আধিকারিক। শুল্ক দফতরের এক কর্তা এবং আর এক জনের সাহায্যে পাচারকারীদের পালাতে সাহায্য করত নবীন। এ-ও জানা গিয়েছে, প্রতি বার এই কাজের জন্য তারা ৬০ হাজার টাকা পেত। উদ্ধার হয়েছে তিনটি সিমকার্ডও। সেই কার্ডগুলি ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ
রাখত নবীনেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy