Advertisement
E-Paper

বিমা এজেন্টকে খুন করে দেহ ভাসিয়ে দেন নর্দমায়! কেন? হরিয়ানায় ধৃত যুবতী ও হবু স্বামী

তদন্তে নেমে মঙ্গলবার লক্ষ্মী নামে এক যুবতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ধরা পড়েন তাঁর হবু স্বামী কেশবও। জেরায় মহিলা জানান, গত পাঁচ বছর ধরে চন্দ্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:০০

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বিমা এজেন্টকে খুন করে নর্দমায় ভাসিয়ে দেন দেহ! অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এক যুবতী ও তাঁর হবু স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার হরিয়ানার ফরিদাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। কেন ওই যুগল বিমাকর্মীকে খুন করলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে দিল্লির অদূরে ফরিদাবাদের একটি নর্দমা থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে যুবকের পরিচয় না জানা গেলেও পরে কাছেই দাঁড় করিয়ে রাখা একটি বাইকের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সূত্র ধরে দেহটি শনাক্ত করা হয়। জানা যায়, যুবকের নাম চন্দ্র। ফরিদাবাদ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব দিল্লির বিনোদনগরে থাকতেন তিনি। কাজ করতেন এক বিমা সংস্থায়। চন্দ্রের দেহের একাধিক জায়গায়, মাথায় এবং ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এর পরেই খুনের মামলা দায়ের করে চন্দ্রের পরিবার।

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মঙ্গলবার লক্ষ্মী নামে এক যুবতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ধরা পড়েন তাঁর হবু স্বামী কেশবও। জেরায় মহিলা জানান, গত পাঁচ বছর ধরে চন্দ্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর। সম্প্রতি কেশবের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌দান হওয়ার পর থেকেই চন্দ্র তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন। তাতে বিরক্ত হয়ে শেষমেশ তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি ও তাঁর হবু স্বামী।

গত শনিবার ওই যুবককে দিল্লির মিঠাপুরে ডেকে পাঠান লক্ষ্মী। তার পর বাইকে করে তাঁকে ফরিদাবাদে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন কেশব ও তাঁর দুই সঙ্গী। তিন জন মিলে শ্বাসরোধ করে ওই যুবককে খুন করেন। তার পর দেহটি নর্দমায় ফেলে দিয়ে পালান অভিযুক্তেরা। পুলিশের মুখপাত্র যশপাল সিংহ জানিয়েছেন, জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দু’জনেই। তবে এখনও কেশবের দুই সহযোগীর খোঁজ মেলেনি। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Insurance agent Haryana Faridabad Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy