কথায় বলে শ্যাম রাখি, না কুল রাখি! ‘মৎস্য-বিদ্যা’য় অভিজ্ঞ কিরণময় নন্দ শেষ পর্যন্ত শ্যামকেই বেছে নিলেন। মানে অখিলেশ যাদবকে। বিসর্জন দিলেন দীর্ঘ দিনের সঙ্গী যদুকুলপতি মুলায়মকে!
চার মাস আগে পিতা-পুত্রের মধ্যে যখন বিবাদ বেধেছিল, তখন কিন্তু কিরণবাবু ট্রাপিজের খেলোয়াড়ের মতো ভারসাম্যের খেলা খেলছিলেন। কিন্তু এই চার মাসে রথ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের ৪৬টি জেলা পরিভ্রমণ করতে গিয়েই বাংলার প্রাক্তন মৎস্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন, অখিলেশের গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে কতটা। তার পরেই তিনি ঠিক করেছেন, আগামী দিনে তাঁর নতুন সঙ্গী হতে চলেছেন অখিলেশ। লখনউ থেকে শনিবার কিরণবাবু স্পষ্টই বলেছেন, ‘‘মুলায়মজি’র বয়স হয়েছে। এখন অখিলেশকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। আমি অখিলেশের পক্ষে। ওর সঙ্গেই থাকব।’’
কয়েক মাস আগেও প্রায় প্রতিদিন তাঁর সঙ্গে মুলায়মের কথা হত। এখন হয় অখিলেশের সঙ্গে। আর্যাবর্তের ‘নেতাজি’র সঙ্গে তাঁর দূরত্বকে কার্যত স্বীকার করে নিয়েই কিরণবাবু বলেন, ‘‘মুলায়মজি’কে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু তিনি অমর সিংহকে কিছুতেই ছাড়তে চাইছেন না! ফল যা হওয়ার, তা-ই হয়েছে!’’ কী হয়েছে? কিরণবাবুর জবাব, ‘‘বিধায়কেরা সব অখিলেশের দিকে। শনিবার বিকেলেই সংখ্যাটা ১৯৭ হয়েছে। আরও বাড়ছে।’’ তাঁকে সভাপতি করে রবিবার অখিলেশ সাংসদ ও বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছেন। অখিলেশ যে ওই বৈঠক থেকেই মুলায়ম-শিবপাল যাদবদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবেন, আগাম সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কিরণবাবু।
রাজ্যসভার সমাজবাদী সাংসদ কিরণবাবুর দাবি, অখিলেশের জন্য তিনি রাজ্যের ২১২টি কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে তিনশো সভা করেছেন। এর পরেই তাঁর মতো গভীর জলের রাজনীতিকের বুঝতে সময় লাগেনি— এ বার বাপকে ছেড়ে ব্যাটার নৌকায় সওয়ার হতে হবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy