Advertisement
E-Paper

আটকে রেখে ১০ দিন ধরে গণধর্ষণ, কোণার্কে উদ্ধার কলকাতার তরুণী

উদ্ধার হওয়া তরুণীর অভিযোগ, গত ১০ দিনে সুভাষ-সহ অন্তত ১৫ জন তাঁকে ধর্ষণ করেছে। বুধবার কোনও রকমে ঘরের তালা ভেঙে তিনি ছাদে আসতে পেরেছিলেন। তার পরেই চিৎকার করে লোকজন ডাকেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৪২
এভাবেই ছাদে দাঁড়িয়ে চিৎকার করেন নির্যাতিতা মহিলা।

এভাবেই ছাদে দাঁড়িয়ে চিৎকার করেন নির্যাতিতা মহিলা।

বন্ধ একটি মার্কেট কমপ্লেক্সের ছাদের কোণায় দাঁড়িয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন বছর পঁচিশের এক তরুণী। সেই চিৎকার শুনে নীচের রাস্তায় তত ক্ষণে উৎসুক জনতার ভিড় জমে গিয়েছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই খবর যায় পুলিশে। শেষে তারা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর পুলিশ বাঙালি ওই তরুণীর কাছ থেকে জানতে পারে, তাঁকে মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি ঘরে আটকে রেখে দিনের পর দিন গণধর্ষণ করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল ওড়িশার পুরী জেলার কোণার্ক। উদ্ধার হওয়া ওই তরুণী কলকাতার বাসিন্দা। টানা ১০ দিন ধরে তাঁকে ওই কোণার্কের ওই মার্কেট কমপ্লেস্কের ছাদের একটি ঘরে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। আপাতত পুরী জেলা হাসপাতালে ভর্তি ওই তরুণী। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্তরা এখনও ফেরার।

পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই তরুণী জানিয়েছেন, কাজল নামে তাঁর পরিচিত এক মহিলা কাজের কথা বলে তাঁকে পুরীতে নিয়ে আসেন। সেখানেই সুভাষ বেহরা নামে কাজলের এক বন্ধুর সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। এর পর কাজল এবং সুভাষ তাঁকে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কিন্তু, তরুণী রাজি না হওয়ায় ওই মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি ঘরে তাঁকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়।

পুরীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা মহিলা।

আরও পড়ুন: সেঞ্চুরি পেরোল আকবরের উকিলের সংখ্যা, ৩১ অক্টোবর ফের শুনানি

উদ্ধার হওয়া তরুণীর অভিযোগ, গত ১০ দিনে সুভাষ-সহ অন্তত ১৫ জন তাঁকে ধর্ষণ করেছে। বুধবার কোনও রকমে ঘরের তালা ভেঙে তিনি ছাদে আসতে পেরেছিলেন। তার পরেই চিৎকার করে লোকজন ডাকেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ওই ঘরে আরও অনেককে আটকে রেখে একই ভাবে নির্যাতন চালানো হয়। পুলিশ যদিও অন্য কাউকে খুঁজে পায়নি। তবে ওই ছাদ থেকে মহিলা ও পুরুষদের প্রচুর জামাকাপড় উদ্ধার করেছে। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মদের বোতল। তাতে পুলিশের সন্দেহ, ওই ঘরে নিয়মিত দেহ ব্যবসার আসর বসত।

আরও পডু়ন: বেপরোয়া বাইকের আঘাতে প্রাণ গেল তিন জনের

পুরীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্যাগারিন মোহান্তি জানিয়েছেন, ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত কাজল এবং সুভাষের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি ওই তরুণীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

অন্য দিকে, ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপির স্থানীয় মহিলা মোর্চার নেত্রীরা হাসপাতালে ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। কংগ্রেসের একটি মহিলা প্রতিনিধি দলও তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের তরফেও কলকাতায় যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস।

Gang Rape Puri Konark Kolkata Captive Rescue
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy