লাদাখের রাস্তায় প্রতিবাদ। ছবি- রয়টার্স
জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপালের একটি নির্দেশকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছে কার্গিল। তাপমাত্রা শূন্যের নীচে ১৭ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ার পরেও প্রতিবাদ জানাতে পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। এমনকী, খোলা আকাশের নীচে রাতও কাটিয়েছেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। গত তিন দিন ধরে সব সরকারি অফিসে তালা ঝুলছে। লাদাখকে আলাদা ডিভিশন করেও তার সদর দফতর রাখা হয়েছে লে-তে। এতেই ক্ষুব্ধ কার্গিলের লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (এলএএইচডিসি)। রাজ্যপালের নির্দেশের প্রতিবাদে কার্গিলের মানুষের কাছে আইন অমান্যের ডাক দিয়েছে এলএএইচডিসি। রাজ্যপাল যত দিন না তাঁর নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করছেন, তত দিন সব সরকারি অফিসে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। প্রশাসনিক নির্দেশগুলিকে কার্যকর করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এলএএইচডিসি বলেছে, লাদাখকে আলাদা ডিভিশন হিসেবে মেনে নিতে তারা রাজি নয়, যদি না তার সদর দফতর প্রতি ৬ মাস অন্তর কার্গিল ও লে-তে রাখা হয়। না হলে তা কার্গিলের মানুষের পক্ষে অপমানজনক হবে। কার্গিল ও লে-তে জেলাস্তরে সবক’টি সরকারি দফতরই রয়েছে এলএএইচডিসি-র অধীনে। ফলে, এলএএইচডিসি-র সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের নির্দেশের তীব্র বিরোধিতা করায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়।
এলএএইচডিসি বলেছে, ‘‘রাজ্যপালকে তাঁর নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে হবে, সর্ব সম্মতিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ এও জানিয়েছে, রাজ্যপাল তাঁর নির্দেশ ‘শুধরে না নিলে’ কার্গিলের মানুষকে সর্ব স্তরে আইন অমান্যের পথে যেতে বলা হয়েছে। আলাদা ডিভিশন করার যে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল, সদর দফতর সংক্রান্ত দাবি মেনে তা শুধরে না নেওয়া হলে এলএএইচডিসি সেই নির্দেশ কার্যকর করতে নিষেধ করেছে কার্গিলের ডেপুটি কমিশনারকে।
আরও পড়ুন- পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা, নিহত ১৮ জওয়ান, দায় নিল জৈশ-ই-মহম্মদ
আরও পড়ুন- বাবার ব্যাটালিয়নে যোগ দিলেন কার্গিল শহিদের ছেলে
রাষ্ট্রপতি শাসনে থাকা জম্মু-কাশ্মীরে লাদাখ এলাকাকে কাশ্মীর ডিভিশনের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে হালে। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লে সফরের পর।
২০১৪-য় লাদাখ লোকসভা আসনে জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু গত নভেম্বরে স্থানীয় সাংসদ ও বিজেপির জনাকয়েক নেতা ইস্তফা দেওয়ায় বিজেপি মুশকিলে পড়ে গিয়েছে। সামনে লোকসভা ভোট। তাই লাদাখকে আলাদা ডিভিশন করে কাশ্মীরের বাইরে নিয়ে গিয়ে ভোট বৈতরণী পেরোতে চাইছে বিজেপি। আলাদা ডিভিশন গড়ার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ফলে লে-তে যেমন বিজেপির পালে হাওয়া উঠেছে, কার্গিলে তেমনই বিজেপির উপর চটে গিয়েছেন মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy