ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে সবে। এ ছাড়াও প্রায় এক ডজন রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে। ইতিমধ্যেই রাঁচি থেকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)– এ সরিয়ে আনা হয়েছে তাঁকে। তবে এখনও সঙ্কট কাটেনি লালুপ্রসাদ যাদবের। বরং তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই মুহূর্তে এমসের কার্ডিয়োথোরাসিক এবং নিউরোসায়েন্সেস সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন লালু। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ রাকেশ যাদবের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। লালুর পাশে থাকতে দিল্লিতে পৌঁছেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। এ ছাড়াও যাদব পরিবারের ঘনিষ্ঠ তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভোলা যাদবও রাজধানীতেই রয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
এমস সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছেন ৭২ বছরের লালু। বাইপাস সার্জারিও হয়ে গিয়েছে। হৃদপিণ্ডের মহাধমনী এবং তার কপাটিকা ( অ্যাওর্টিক ভালভ) পাল্টানো হয়েছে। এ ছাড়াও কিডনির সমস্যাও রয়েছে। ডায়লিসিসের প্রয়োজন না থাকলেও লালুর কিডনির মাত্র ৩০ শতাংশ কার্যকর এই মুহূর্তে। উচ্চ রক্তচাপ এবং সুগারের সমস্যাও রয়েছে তাঁর। তাই বিশেষ সতর্কতা নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।