উত্তরাধিকারের ‘ব্যাটন’ কার হাতে ছাড়বেন, তা ভাবতে হিমশিম লালু প্রসাদ। আরজেডি-র বিধায়ক দলের নেতার নাম ঠিক করতে গিয়ে তিনি ভুগছেন সিদ্ধান্তহীনতায়।
আজ বিকেলে পটনার অভিজাত একটি হোটেলে দলের নেতা, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন লালু। হাজির ছিলেন রাবড়ী দেবীও। বৈঠকে বিধায়ক দলের নেতা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয় আরজেডি শীর্ষনেতাকে। পরে লালু বলেন, ‘‘বিধান মণ্ডলে আমাদের জোটের নেতা নীতীশ কুমার। দলের নেতার নাম কিছুটা ভেবে ঠিক করব।’’
আরজেডি অন্দরমহলের খবর, লালু প্রসাদ চাইছেন তাঁর পরিবারের কাউকে ওই দায়িত্ব দিতে। বিধানসভা ভোটে বিহারে বিজেপিকে ধরাশায়ী করার পর এখন এ ভাবেই নিজের উত্তরাধিকারী ঠিক করতে চাইছেন তিনি। কিন্তু বিধায়ক দলের নেতা হিসেবে আবদুল বারি সিদ্দিকির নামও তুলেছেন দলের কয়েক জন নেতা। তাঁদের এক জন জানিয়েছেন, এ দিনের বৈঠকে সিদ্দিকিকে নিয়ে একটি শব্দও বলেননি লালু।
পরিবারের দিক থেকেও প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন লালু। দলের নেতাদের একাংশ বলছেন— ভোটে তাঁর ছোট ছেলে তেজস্বীর পাশাপাশি জিতেছেন বড় ছেলে তেজপ্রতাপও। তা ছাড়া দুই ভাইয়ের ভোট-প্রচারে প্রচুর সময় দিয়েছেন বড় মেয়ে মিসা ভারতী। এ সবের জেরে উত্তরাধিকারী বাছতে হিমশিম হচ্ছেন লালু।
এ নিয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করতে চাইছেন। সেই পরিকল্পনা করেই আগামী কাল সকালে রাবড়ী দেবীর বাড়িতে দলের সমস্ত বিধায়কদের ডেকেছেন লালু। সেখান থেকে তাঁরা মিছিল করে বিধানসভায় মহাজোটের বৈঠক যাবেন। রাজনৈতিক শিবিরের ধারণা, সবার সঙ্গে কথা বলার পর আগামী কাল রাতের মধ্যেই দলীয় নেতার নাম ঘোষণা করবেন লালু।
এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ শহরের অভিজাত হোটেলে আরজেডি-র বৈঠক শুরু হয়। দলের কয়েক জন নেতা আবদুল বারি সিদ্দিকির নাম তোলেন। কিন্তু এ নিয়ে কিছু বলেননি লালু। দলীয় সূত্রে খবর— সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ইলিয়াস হোসেন, এম এ ফাতমির মতো বিধায়করা। প্রকাশ্যেই তাঁরা সিদ্দিকিকে দলনেতা করার বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন। দ্বারভাঙা গ্রামীণের বিধায়ক ললিত যাদবও সিদ্দিকির বিরোধিতা করেছেন। অধিকাংশ বিধায়ক চাইছেন, দলনেতা হিসেবে তেজস্বীর নাম ঘোষণা করা হোক। কিন্তু তা হলে তেজপ্রতাপ, মিসার কী হবে— তা ভেবেই ফাঁপরে পড়েছেন লালু।
অন্য দিকে, আগামী কাল বেলা ১১টায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও দলের বিধায়কদের বৈঠকে ডেকেছেন। সেখানে সরকারি ভাবে জেডিইউয়ের দলনেতার নাম ঘোষণা করা হবে। দুপুর তিনটে
নাগাদ বিধানসভায় জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক। সেখানে নীতীশ কুমার ছাড়া থাকবেন লালু, শরদ যাদব। কেন্দ্রের কয়েক কংগ্রেস নেতাও থাকতে পারেন। এ দিনই দিল্লিতে গিয়ে নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়করা সনিয়া গাঁধী ও রাহুলের সঙ্গে দেখা করেছেন।
রাজনৈতিক শিবিরের খবর, আগামী কাল থেকেই মন্ত্রিসভা তৈরির ছক কষবেন নীতীশ-লালু। প্রতিটি সম্প্রদায় থেকে দু’জন করে মন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy