কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামতে চান লালুপ্রসাদ। নোট বাতিলের প্রশ্নে ১৭ ডিসেম্বর দলের সমস্ত বর্তমান ও প্রাক্তন সাংসদ-বিধায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দলের নেতাদের ওই দিন পটনায়, ১০ সার্কুলার রোডে রাবড়ীদেবীর বাসভবনে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
লালুপ্রসাদের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও হতচকিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেন না, দিন কয়েক আগে নোট বাতিলকে সমর্থন করেছিল আরজেডি। যদিও পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দলের নেতারা। অনেকেই মনে করছেন, নীতীশ কুমারের নোট বাতিল সমর্থনের সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ লালু। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে জল মাপছিলেন লালু। কিন্তু প্রায় ৩০ দিন পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আসরে নামছেন তিনি।
মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে পাশে দাঁড়ান রাজনীতিতে তাঁর কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত নীতীশ কুমার। যদিও সে সময়ে তাঁর দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা সাংসদ শরদ যাদব নোট বাতিলের বিরোধিতাই করেছিলেন। কিন্তু নীতীশের চাপে তিনি পিছু হটেন। নীতীশ কুমারের সমর্থনের পিছনে বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণ কাজ করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে লালুপ্রসাদ এবং তাঁর ছেলেদের চাপে রাজ্যে সরকার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে নীতীশকে। সে কারণে বিজেপিকে সমর্থন করে লালুপ্রসাদকে চাপে রাখতে চাইছেন নীতীশ। কার্যত নীতীশের উপর পাল্টা-চাপ হিসেবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন, পটনায় তাঁর সভায় প্রতিনিধি পাঠান লালু। এ নিয়ে নীতীশ কিছুটা ক্ষুব্ধ হলেও পরে দূত পাঠিয়ে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত দেন। আরজেডি বিধায়ক দলের সভায় লালুপ্রসাদের বাড়িতে গিয়ে নোট বাতিলের সমর্থনের পক্ষে যুক্তি দেন নীতীশ। কিন্তু তাতে ভোলেননি লালু। কিছুটা সুস্থ হয়েই ১৭ ডিসেম্বর দলের সমস্ত নেতাকে ডেকেছেন তিনি। সূত্রের খবর, মোদীর লোকসভা কেন্দ্র, বারাণসী থেকেই নোট বাতিলের বিপক্ষে প্রচার শুরু করতে চাইছেন লালু। আর এই প্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy