Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

দিদির মৃত্যু, চেষ্টা লালুর প্যারোলের

মারা যাওয়ার পরে সেই গঙ্গোত্রীদেবীই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন লালু পরিবার এবং আরজেডি দলের নেতাদের কাছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪৭
Share: Save:

লালুপ্রসাদ জেলে যাওয়ার পরে রাত পোহানোর আগেই মারা গেলেন তাঁর দিদি গঙ্গোত্রীদেবী। চার বছরের বড় এই দিদির সঙ্গে লালুপ্রসাদ সম্পর্ক রাখলেও যোগাযোগ হতো কালেভদ্রে। মারা যাওয়ার পরে সেই গঙ্গোত্রীদেবীই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন লালু পরিবার এবং আরজেডি দলের নেতাদের কাছে।

গঙ্গোত্রীদেবী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ এবং শয্যাশায়ী ছিলেন। গত কাল রাতে তিনি মারা যাওয়ার পরেই পটনা বিমান বন্দরের কাছে ‘বিহার ভেটেরিনারি কলেজে’র কর্মী আবাসনে যান লালুপ্রসাদের স্ত্রী রাবড়ীদেবী, দুই ছেলে তেজপ্রতাপ ও তেজস্বী। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের সামনে লালু পরিবারের সদস্যদের দাবি, ভাইয়ের সাজা শোনার পরেই শোকে মৃত্যু হয়েছে গঙ্গোত্রীদেবীর।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ীদেবীর কথায়, ‘‘ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় গত কাল দিনভর পূজা-প্রার্থনা করেছেন। ভাইয়ের দীর্ঘদিনের জন্য জেল হয়েছে শোনার পরেই তিনি ভেঙে পড়েন।’’ জেজস্বী জানান, পিসির অন্ত্যেষ্টি হবে গ্রামে। সেখানেই দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। লালুপ্রসাদ যাতে অন্ত্যেষ্টিতে উপস্থিত থাকতে পারেন, তার জন্য প্যারোলের ব্যবস্থা করারও চেষ্টা হচ্ছে। তবে রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় সময়ে তা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তেজস্বী। রাঁচীতে বিরসা মুন্ডা জেলের বর্তমান মালি লালুপ্রসাদের প্যারোলের বন্দোবস্ত হল কি না, এ দিন অন্তত কোনও খবর মেলেনি সরকারি সূত্রে।

দীর্ঘদিন ধরেই ভেটেরিনারি কলেজের কর্মী আবাসনে থাকতেন গঙ্গোত্রী দেবী। সস্ত্রীক লালুপ্রসাদও থেকেছেন এক সময়ে। এখান থেকেই বিহার রাজনীতিতে উঠে এসেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে চিত্রসাংবাদিকদের নিয়ে বার কয়েক হাজিরও হয়েছিলেন এই আবাসনে। তবে এর পরে দীর্ঘদিন সে রাস্তায় পা পড়েনি লালুপ্রসাদের। পরিবারের বাকি সদস্যেরা কবে গিয়েছেন, তা নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।

গঙ্গোত্রীদেবীর দুই ছেলে বিহার পুলিশ এবং রেলে কর্মরত। আরজেডি নেতাদের দাবি, লালুপ্রসাদের জন্যই দু’জনে চাকরি পেয়েছেন। ছেলেদের জন্য লালুপ্রসাদের কাছে দরবার করেছিলেন গঙ্গোত্রীদেবী। তবে রাজনীতিতে নিয়ে আসার দাবি জানালেও লালু সে প্রস্তাব মানেননি। সরকারি চাকরি করেই দিন গুজরান করতে বলেছিলেন। শেষ দিকে ছেলেরাও মায়ের খবর রাখত না বলে পড়শিদের দাবি। অথচ বিহারের রাজনীতিতে সহানুভূতি জোটাতে ও সাময়িক ভাবে হলেও লালুপ্রসাদকে জেলের বাইরে আনতে পরিবার এবং আরজেডি-র ভরসা গঙ্গোত্রীদেবীই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE