মুম্বইয়ের বান্দ্রা-ওরলি সি লিঙ্কে একের পর এক গাড়িকে টপকে বিপজ্জনক গতিতে ছুটছে একটি ল্যাম্বরগিনি। কখনও গাড়ির গতি পৌঁছে যাচ্ছে ২৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তাতে অবশ্য চালকের কুছ পরোয়া নেহি! বরং দ্রুতবেগে ছুটে চলা সারি সারি গাড়িকে পাশ কাটিয়ে এগোচ্ছে বিলাসবহুল গাড়িটি। সেই ঘটনার ‘রিল’ বানিয়ে পরে তা সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেন গাড়ির মালিক। আর সেটাই কাল হল। ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই গাড়িটি শনাক্ত করে বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। মামলা দায়ের হল মালিকের বিরুদ্ধেও।
১২ ডিসেম্বর পোস্ট করা ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সি লিঙ্ক ধরে বেপরোয়া গতিতে ছুটছে ল্যাম্বরগিনি গাড়িটি (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। দেখে মনে হচ্ছে, গাড়ির চালকের পাশের আসনে বসা যাত্রী ভিডিয়োটি রেকর্ড করেছেন। ওই অবস্থান থেকে গাড়ির স্পিডোমিটার স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সি লিঙ্কে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। তবে চালক সে সবের তোয়াক্কা না করে ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে গাড়ি ছোটাচ্ছেন। কখনও আবার গাড়ির গতি পৌঁছে যাচ্ছে ঘণ্টায় ২৫১ কিলোমিটারে! ও রকম বিপজ্জনক ভাবেই ছুটে চলেছে গাড়িটি।
আরও পড়ুন:
৫৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়ো দ্রুত সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তার পরেই তৎপর হয়েছে ওরলি পুলিশ। বুধবার হলুদ রঙের ওই ল্যাম্বরগিনি উরুস গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার দাম প্রায় কয়েক কোটি টাকা। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর হরিয়ানার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটির চালাচ্ছিলেন ফৈজ় আদেনওয়ালা নামে এক যুবক। ৩৬ বছর বয়সি ওই যুবক পশ্চিম খারের বাসিন্দা। ফৈজ় অবশ্য গাড়ির ডিলার। গাড়ির মালিকের নাম নীরব পটেল। তিনি অহমদাবাদের বাসিন্দা। ট্রাফিক আইন ভেঙে বেপরোয়া গতিতে চালানোর অভিযোগে বিলাসবহুল গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।