ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের সম্পত্তি বিক্রি করছিল না কংগ্রেস। বরং স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এই সংস্থাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। আজ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীর হয়ে তাঁর আইনজীবী আর এস চিমা এই যুক্তি দিয়েছেন।
শুক্রবার সনিয়া গান্ধীর হয়ে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ইডি-র ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সওয়াল করেছিলেন। সনিয়া, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই মামলায় ইডি আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে চার্জশিট দায়ের করেছে। আজ রাহুলের হয়ে চিমা যুক্তি দিয়েছেন, ইডি কেন আদালতের সামনে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার প্রকাশক সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালসের সমস্ত নথি পেশ করছে না? জওহরলাল নেহরু, জে বি কৃপালনি, রফি আহমেদ কিদোয়াই এবং অন্যরা মিলে ১৯৩৭ সালে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস তৈরি করেছিলেন। এই সংস্থা কোনও মুনাফা করেনি। স্বাধীনতার পরেও এই সংস্থা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছিল না। কংগ্রেস সেই সংস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছিল। তার মধ্যে মুনাফা খুঁজছিল না।
দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় চার্জশিট দায়েরের পরে ইডি অভিযোগ তুলেছিল, এই মামলায় সনিয়া ও রাহুল গান্ধী আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন। লোকসানে চলা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালসকে সাহায্য করতে কংগ্রেসের তহবিল থেকে ৯০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও ২০০৮-এ লোকসানের বোঝায় ন্যাশনাল হেরাল্ড বন্ধ হয়ে যায়। ২০১০-এ ‘ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড’ নামের নতুন একটি সংস্থা তৈরি হয়। যার ৭৬ শতাংশ মালিকানা সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর হাতে। অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে পুরো ঋণের বোঝাই নিজের ঘাড়ে তুলে নেয় ইয়ং ইন্ডিয়া সংস্থা। তার বদলে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালসের পুরো মালিকানাই ইয়ং ইন্ডিয়া-র হাতে চলে যায়।
বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ ছিল, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালসকে কংগ্রেসের সদস্য, সমর্থকদের চাঁদায় তৈরি তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হয়েছিল। সেই ঋণের সুযোগ নিয়ে সনিয়া-রাহুল ইয়ং ইন্ডিয়ার মাধ্যমে দিল্লি, লখনউ, মুম্বইয়ে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালসের ২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি করায়ত্ত করেছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)