আমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে বিমার টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে নিয়ম সরল করার কথা জানাল জীবন বিমা নিগম। মৃত্যু-শংসাপত্রের সমতুল বলে বিবেচিত হবে মৃত্যু সংক্রান্ত সরকারি কোনও নথি। রাজ্য বা কেন্দ্রের সরকার অথবা উড়ান সংস্থার দেওয়া ক্ষতিপূরণের নথি হলেও চলবে। ন্যূনতম নথিতে বিমার টাকা দিতে বিশেষ পদক্ষেপের কথা বলেছে কিছু বেসরকারি বিমা সংস্থাও।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের অনুমান, এই দুর্ঘটনায় প্রায় ১৮০০-২৪০০ কোটি টাকার দাবির মুখোমুখি হতে পারে দেশের নানা বিমা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক পুনর্বিমা সংস্থাগুলি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির বিমার দাবির অঙ্কই ৭০০ কোটি টাকার কাছাকাছি হতে পারে। বসতি এলাকায় বিমান ভাঙায় তৃতীয় পক্ষের সম্পত্তি ও প্রাণহানির ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও থাকবে। অবশ্য পুরো ভার শুধু ভারতীয় বিমা সংস্থাগুলির ঘাড়ে চাপবে না। কারণ বিপুল অঙ্কের দেয়-অর্থের ক্ষেত্রে তাদেরও আন্তর্জাতিক সংস্থার থেকে পুনর্বিমা করানো থাকে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে নানা দেশের নাগরিকেরা থাকার ফলে ক্ষতিপূরণের চূড়ান্ত অঙ্ক স্থির হবে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী।
এক বিশেষজ্ঞের মতে, যাত্রী ও তৃতীয় পক্ষের আইনি ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কোর্ট স্থির করবে। লাগতে পারে দু’-তিন বছরও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)