নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বরাবরই ভাল। ভারতের প্রসঙ্গ উঠলে এ কথা বার বার শোনা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে। মোদীকে তাঁর প্রকৃত বন্ধু বলেও বার বার উল্লেখ করতে শোনা গিয়েছে ট্রাম্পকে। ভারতে এসেও মোদীর প্রশংসায় এতটুকুও কার্পণ্য করলেন না তিনি। বরং বললেন, এক জন চা-ওয়ালা হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন মোদী। কিন্তু আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। এর থেকেই এটা প্রমাণিত হয় যে, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভারত যে কোনও পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।
মোদীকে উদ্দেশ করে ট্রাম্প বলেন, “আপনাকে সকলেই ভালবাসে। আপনি শুধু গুজরাতের গর্ব নন। কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে যে অনেক কিছু অর্জন করা যায়, তার জীবন্ত উদাহরণ আপনি। অভূতপূর্ব উত্থানের একটা চলমান গল্প আপনি।” তবে পাশাপাশি ট্রাম্প এটাও বলেন, “মোদী এক জন দৃঢ় মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিও বটে।” নরেন্দ্র মোদীর আমলে ভারতে অনেক তাত্পর্যপূর্ণ সংস্কারও হয়েছে, এমন মন্তব্যও করেন ট্রাম্প। তবে সারা বিশ্ব আরও এ ধরনের সংস্কার দেখতে চায় বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ট্রাম্পের এই সফরকে ঘিরে একটা আশঙ্কাও কাজ করছিল নয়াদিল্লিতে। মোদী কি ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা তুলবেন? একটা অস্বস্তি যেন ঘিরে রেখেছিল শাসকদলকে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু বলেননি ট্রাম্প। বরং বলেছেন, “এ দেশের সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকেন। আর এই একতাই বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা।” ট্রাম্প আরও বলেন, “মানুষের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়েছে ভারত। গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও সহিষ্ণু দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে ভারত।”