অসমে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনের মাত্র ১৩ দিন বাকি। প্রার্থীরা জোরকদমে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন।
পাশাপাশি, গত পাঁচ বছরে সরকার বা জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে কী মিলেছে— তার হিসেব কষছেন নাগরিকরা।
একই কথা ভাবছেন করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি বিধানসভা সমষ্টির উত্তর গোপালপুর, বরথল, গোপালপুর, খৈলামছড়া, আছাইরঘাট, পূর্ব আছাইরঘাট, পেঁচারঘাট, ছনটিলা গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। বেশিরভাগই বলছেন, অনেক আশ্বাস মিললেও তাঁদের এলাকায় যে উন্নয়নের আঁচ কার্যত পৌঁছয়নি, তা সেখানকার বাঁশের সাঁকো দেখেই স্পষ্ট বোঝা যায়।
তাঁরা জানান, প্রতি দিন কয়েকশো মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নেয়ে ওই সেতু পার হতে বাধ্য হন।
এলাকার বিধায়ক তথা পূর্ত বিভাগের পরিষদীয় সচিব মণিলাল গোয়ালা দু’বছর আগে লঙ্গাই নদীর উপর পাকা সেতু তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কাজ শুরুও হয়েছিল। কিন্তু তা এখনও শেষ করা হয়নি।
আছাইরঘাটের সেই বাঁশের সেতু পার হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে দিতে হয় ৪-১০ টাকা।
অনেকটা ‘টোল-ট্যাক্সের’ আদলে তা সংগ্রহ করা হয়। সেই কাজে মোতায়েন কর্মী জানান, সাঁকো তৈরির জন্য ৪১ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি ৬ মাসব্যবধানে সেই কাজ করতে হয়। তাই এলাকাবাসীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। সাঁকো পেরনোর জন্য অনেকে প্রতি দিন টাকা দেন, কেউ বা মাসে মাসে সেই টাকা দিয়ে দেন। শুধু হেঁটেই নয়, মোটরসাইকেলও পার হয় সাঁকোটি।
এ নিয়ে এলাকার বিধায়ক তথা পরিষদীয় সচিব মণিলাল গোয়ালা জানান, সেখানে দু’বার পাকা সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণকাজে ত্রুটি থাকায় প্রথম পর্যায়ে সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। এখন অন্য ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই সমস্যা মিটবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy