ফরাসি বিমান-বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না নেহাতই সাদাসিধে গ্রামবাসীদের। ছবি: পিটিআই।
রাফাল কাণ্ডের আঁচ ছত্তীসগঢ়ের এক অখ্যাত গ্রামেও!
ফরাসি বিমান-বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না নেহাতই সাদাসিধে গ্রামবাসীদের। বিজেপির মতোই উঠতে বসতে রাফাল খোঁচা সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের। হয়রানির একটাই কারণ। তাঁদের গ্রামের নাম রাফাল। অবিলম্বে তাই নাম বদল চেয়েছেন বাসিন্দারা।
ছত্তীসগঢ়ের মহাসমুন্দ কেন্দ্রের অন্তর্গত গ্রামটিতে সাকুল্যে শ’দুয়েক পরিবারের বাস। আগামী ১৮ এপ্রিল ভোট সেখানে। গ্রামের বাসিন্দা ৮৩ বছরের ধর্ম সিংহ বলেছেন, ‘‘অন্য গ্রামের লোকেরা আমাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করছে। বলছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তদন্ত হবে। নাম বদলাতে চেয়ে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর অফিস পর্যন্ত গিয়েছি।’’ তাঁর ক্ষোভ, নাম নিয়ে চর্চা হচ্ছে ঠিকই, তবে তার জন্য ভাল কিছু হচ্ছে না গ্রামের। রাজ্যের বাইরে কেউ তো গ্রামের নামই জানে না। গ্রামে জল সরবরাহ বা নিকাশি ব্যবস্থার মতো সাধারণ পরিষেবাটুকু নেই। সেচের সুবিধাও নেই। ফলে বৃষ্টির জলের উপরে চাষাবাদ নির্ভর করে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের চুক্তির বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ জানেন না ধর্ম সিংহের মতো গ্রামবাসীরা। গ্রামের নাম রাফাল কেন তা নিয়েও বিন্দুমাত্র ধারণা নেই তাঁদের। প্রবীণতম বাসিন্দার কথায়, ‘‘যুগের পর যুগ ধরে এই নামই চলে আসছে। ২০০০ সালে ছত্তীসগঢ় গঠন হওয়ার ঢের আগে থেকে। ব্যাস এটুকুই জানি। এই নামকরণের পিছনে কী যুক্তি আমাদের জানা নেই। এ নামের কী মানে তাও জানি না।’’
মহাসমুন্দ কেন্দ্রে এ বারের বিজেপি প্রার্থী চান্দুলাল সাহু। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেসের ধর্মেন্দ্র সাহু ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির ধানসিঙ্গ কোসারিয়া। ধর্ম সিংহ বলেছেন, ‘‘নেতারা এখন কত গ্রাম দত্তক নিচ্ছেন। কিন্তু কেউ একবার আমাদের গ্রামে এলেন না। সপ্তাহ দু’য়েক আগে কয়েক জন বিজেপি কর্মী এসেছিলেন। তবে তাঁরা নেহাতই নিচুতলার। যে-ই নির্বাচনে জিতুন, আমাদের অনুরোধ গ্রামের নামটা যেন বদলে দেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy