মুকেশ অম্বানীর পুত্র অনন্ত। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
মাঝে একটা সপ্তাহের ব্যবধান। তারই মধ্যে বাবা আর ছেলেকে একেবারেই বিপরীতমুখী দু’টি রাজনৈতিক দলের হয়ে সওয়াল করতে দেখা গেল। এক জন বিশিষ্ট শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী। অন্য জন তাঁর ছোট ছেলে অনন্ত অম্বানী।
শুক্রবার অনন্তকে দেখা গেল মুম্বইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায়। একেবারে সামনের সারিতে। অনন্ত অম্বানী যখন, তখন শুধুই নির্বাক শ্রোতা হয়ে থাকবেন কেন? জনসভাতেই স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে ২৪ বছর বয়সী অনন্ত বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনব আর দেশের সেবা করব বলেই এসেছি এখানে।’’
ঠিক এক সপ্তাহ আগে, দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী মিলিন্দ দেওরার পিঠ চাপড়েছিলেন অনন্তর বাবা মুকেশ অম্বানী। যেখানে ভোট হবে সোমবার। মুকেশ বলেছিলেন, ‘‘দক্ষিণ মুম্বইকে যদি কেউ ভাল ভাবে জেনে, বুঝে থাকেন, তা হলে তিনি মিলিন্দ। মিলিন্দ ছাড়া আর কেউই দক্ষিণ মুম্বই কেন্দ্রের ভোটারদের সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি অতটা ভাল ভাবে জানেন না। বোঝেনও না।’’
আরও পড়ুন- রাফাল নিয়ে কংগ্রেসের রোষে ভাই অনিল, তাদের প্রার্থীকেই সমর্থন মুকেশের
আরও দেখুন- মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মুকেশ অম্বানী!
রাজনৈতিক দলকে সমর্থনের ব্যাপারে অম্বানী পরিবারে আরও কিছু ‘রং’ রয়েছে। বড় ভাই মুকেশ যখন গত সপ্তাহে প্রকাশ্যেই প্রশংসা করেছেন মিলিন্দের, তখন তাঁর ছোট ভাই অনিল অম্বানীকে রাফাল বিতর্কে বিঁধতে কসুর করছেন না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।
তবে রাজনৈতিক দলকে সমর্থনের ব্যাপারে মুকেশ ও অনিল, এই দুই ভাইয়ের অবস্থান আলাদা হলেও, তা যে তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারেনি, দিনকয়েক আগেই তার প্রমাণ দিয়েছেন মুকেশ। ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে ‘আরকম’-এর মালিক অনিলের জেল যখন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল, তখন মুকেশই বড় দাদার ভূমিকা নিয়ে মোটা টাকার জরিমানা মিটিয়ে ভাই অনিলকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন।
এক সময় দুই ভাইয়ের মধ্যে যে চিড় ধরেছিল, ২০১০ সালে তা জুড়ে দিয়েছিলেন মা কোকিলাবেন অম্বানীই। এ বছরের গোড়ায় মুকেশের ছেলে আকাশ ও মেয়ে ঈশার বিয়েতে স্ত্রী টিনা মুনিমকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অনিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy