অমিত শাহ হলফনামায় নিজের সম্পত্তির পরিমাণ কম দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতা মণীশ তিওয়ারি আজ এআইসিসি দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেন, গাঁধীনগরের সেক্টর এক-এ ৩১৬ বর্গমিটারের একটি প্লট আছে বলে হলফনামায় জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। হলফনামায় জমির বর্তমান বাজার দরের আনুমানিক দাম জানাতে হয়। সেটির দাম অমিত শাহ ২৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছেন। অথচ গুজরাতের বাজার দরের হিসেবে এটি হওয়া উচিত ৬৬ লক্ষ টাকা। অবিলম্বে গাঁধীনগরের রিটার্নিং অফিসারকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের। বিজেপি বলছে, কংগ্রেসের কাছে আর কোনও বিষয় নেই বলে আজগুবি অভিযোগ করছে।
মনোনয়নপত্র পেশের দিনেই কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, গত সাত বছরে অমিত শাহের সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০% বেড়েছে। ২০১২-এ সম্পত্তি ছিল ১১ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকার।
সেটিই ২০১৯ সালে বেড়ে হয়েছে ৩৮ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। বিজেপি সভাপতির স্ত্রীর সম্পত্তিরও ১৬ গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। আর অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের ৫০ হাজার টাকার ব্যবসা কয়েক মাসে হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। কংগ্রেস আজ জমির দাম কম করে দেখানোর যে অভিযোগ এনেছে, তা সত্যি প্রমাণিত হলে জনপ্রতিনিধি আইনে অমিত শাহের ছ’মাসের জেল ও জরিমানা হতে পারে।