আব্দুল্লা আজম খান ও জয়াপ্রদা। —ফাইল চিত্র।
অশালীন মন্তব্য করে আগেই বিতর্ক বাধিয়েছেন বাবা। তাতেও শিক্ষা হল না উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের ছেলে আবদুল্লার। নাম না করে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া জয়াপ্রদাকে এ বার ‘আনারকলি’ বলে বসলেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কিছুদিন আগে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিরোধীদের অক্রমণ করে তিনি বলেন, “ওরা আলিকে বিশ্বাস করেন। আমাদের বিশ্বাস বজরঙ্গবলীতে।” যোগীর সেই মন্তব্য টেনে সম্প্রতি আজম-পুত্র আবদুল্লা বলেন, “আলিকেও চাই আমরা। চাই বজরঙ্গবলীকেও। চাই না শুধু আনারকলিকে।”
এর আগে আজম খান জয়াপ্রদাকে ‘নাচনেওয়ালি’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তাই আবদুল্লা মুঘল সম্রাট আকবরের দরবারের নর্তকী আনারকলির সঙ্গে জয়াপ্রদার তুলনা করেছেন বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন জয়াপ্রদা। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “যেমন বাবা, তেমনই ছেলে। সাধারণত ওঁর বাবাই এমন কথা বলে বেড়ান। ভেবেছিলাম ছেলের পেটে শিক্ষা আছে হয়তো। কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম ওই পরিবারেরই ছেলে তিনি। মহিলাদের সম্মান করতে জানেন না ওঁরা।”আবদুল্লার বিরুদ্ধেও নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ করা উচিত বলে জানান জয়াপ্রদা।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দফা ভোটের আগের দিন রাজ্যে ৭ পুলিশকর্মীকে বদলি করল কমিশন
আরও পড়ুন: আপনার রিগিং রোখার চেষ্টা হতেই সমান্তরাল সরকার দেখতে পাচ্ছেন? মমতাকে তীব্র আক্রমণে অমিত শাহ
আজম খানের হাত ধরেই উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে প্রবেশ জয়াপ্রদার। আবার তাঁর সঙ্গে ঝামেলার জেরেই সমাজবাদী পার্টি থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। তার পর থেকে প্রকাশ্য সভায় একাধিকবার তাঁকে আক্রমণ করেছেন আজম খান। লোকসভা নির্বাচনের আগে জয়াপ্রদা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর একটি সভায় আজম খান বলেন, ‘‘আমি হাত ধরে ওঁকে রামপুরে এনেছিলাম। রাস্তাঘাট সব চিনিয়েছি। কাউকে ছুঁতে পর্যন্ত দিইনি। কোনও খারাপ কথাও বলিনি। ১০ বছর ধরে ওঁকে আপনারা জনপ্রতিনিধি করে সংসদেও পাঠিয়েছেন। ওঁকে চিনতে আপনাদের ১৭ বছর লেগে গিয়েছে। আমি কিন্তু ১৭ দিনেই বুঝেছিলাম ওঁর অন্তর্বাসের রঙ খাকি।’’ জয়াপ্রদাকে ‘নাচনেওয়ালি’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এমনকি নির্বাচন কমিশনের কোপেও পড়তে হয়েছে আজম খানকে। ৭২ ঘণ্টার জন্য তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা বসায় কমিশন। তবে তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়াই উচিত নয় বলে দাবি করেন জয়াপ্রদা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy