—ফাইল চিত্র।
ওড়িশায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টার পরীক্ষা করায় গত ১৭ এপ্রিল কর্নাটক ক্যাডারের আইএএস অফিসার মহম্মদ মহসিনকে সাসপেন্ড করেছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে (ক্যাট) আবেদন করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল (ক্যাট) সেই সাসপেনশনের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ‘ক্যাট’ আগামী ৩ জুন ফের মামলাটি শুনবে। তার আগে কমিশনকে তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে হবে।
ঘটনাচক্রে ক্যাটের এই সিদ্ধান্তের দিনই কর্নাটক ক্যাডারের ওই আইএএস অফিসারকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য মহসিনের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করতেও কর্নাটক সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। উপ নির্বাচন কমিশনার ধর্মেন্দ্র শর্মার তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই মহসিনের ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ওড়িশাতে সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা করতে গিয়েছিলেন মহসিন। সম্বলপুরে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারের কয়েকটি বাক্স তিনি পরীক্ষা করে দেখেছিলেন। এর পরই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে জানায়, কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এসপিজি নিরাপত্তাপ্রাপকদের বিমান বা হেলিকপ্টার এ ভাবে পরীক্ষা করা যায় না। কমিশনই তাতে ছাড় দিয়েছে। দেশে এখন নরেন্দ্র মোদী, মনমোহন সিংহ, এইচ ডি দেবগৌড়া, সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা এসপিজি নিরাপত্তা পান। কমিশন এর পর ওই অফিসারকে সাসপেন্ড করে কর্নাটকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বেঙ্গালুরুর ‘ক্যাট’ এ দিন কমিশনের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করে বলেছে, এসপিজি নিরাপত্তা প্রাপকদের নিয়ে কমিশনের নির্দেশিকা রয়েছে মাত্র। কিন্তু তার উপরেও রয়েছে দেশের আইন। ‘ক্যাট’ নির্দেশিকার আগে আইনকে রাখবে। তার আগে কমিশনের বক্তব্য শুনবেন ‘ক্যাট’এর বিচারকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy