Advertisement
E-Paper

পশ্চিম ত্রিপুরার কিছু বুথে চলেনি সিসি ক্যামেরা

রিটার্নিং অফিসার সন্দীপ এন মাহাত্মে তাঁর চিঠিতে লেখেন, ৪৩৩টি বুথের সিসি ক্যামেরায় ‘অস্বাভাবিকতা’-র প্রমাণ পান তিনি।

বাপি রায়চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

গত ১১ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় ৪৫০ বুথে সিসি ক্যামেরা ঠিক ভাবে কাজ করেনি। নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক বিনোদ জুৎসির সঙ্গে বৈঠকের আগের দিন পশ্চিম লোকসভা আসনের রিটার্নিং অফিসার তথা পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসারকে এ কথা লিখিত জানান।

রিটার্নিং অফিসার সন্দীপ এন মাহাত্মে তাঁর চিঠিতে লেখেন, ৪৩৩টি বুথের সিসি ক্যামেরায় ‘অস্বাভাবিকতা’-র প্রমাণ পান তিনি। তাঁর রিপোর্টে তিনি বলেছেন, কোথাও সিসি ক্যামেরা ৯ ঘণ্টার কম সময় রেকর্ড করেছে। কোথাও ক্যামেরা লাগানো হলেও তার মধ্যে মেমরি কার্ডই লাগানো হয়নি। কোথাও ক্যামেরা মুখ ঘোরানো ছিল। কোথাও বা ক্যামেরা চালানোর লোকই ছিল না। বেশ কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছে, ভোট শেষ হওয়ার আগেই ক্যামেরা বন্ধ করা হয়েছে, কিংবা ভোটের সময়ে মাঝে মাঝে বন্ধ রাখা হয়েছে।

নির্বাচনের আগে এই আসনের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের ভিডিও রেকর্ডিং করার জন্য সদর মহকুমা শাসকের অফিস থেকে নির্দেশ জারি করে বলা হয়, বিএমএস সংগঠনভুক্ত লোকদেরই এই কাজের বরাত দিতে হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর কমিশন সদর মহকুমাশাসককে সরিয়ে দেয়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক বিনোদ জুৎসি গতকাল নির্বাচনী কাজে যুক্ত অফিসারদের নিয়ে সমস্ত নথিপত্র, ভিডিয়ো ফুটেজ নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। সেই বৈঠক আজ ভোর পর্যন্ত চলেছে।

পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের ভোট নিয়ে বিরোধী দলগুলির তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট এবং ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ দায়ের করেছে। ভোটের পরেই কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা দিল্লিতে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের কাছে অভিযোগ জানায়। আজ কংরগ্রেসের পক্ষ থেকে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সিপিমের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সম্পাদক পবিত্র কর জানিয়েছেন, রিটার্নিং অফিসার লোক দেখানো রিপোর্ট দিয়েছে। আসলে প্রায় ১০০০ টি বুথে ভোটই হয়নি। তাঁর বক্তব্য, অনিয়মের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে কমিশনকে আবার ওই কেন্দ্রে ভোট করাতে হবে। পাশাপাশি, সিপিএমের তরফে কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, বুথে কী হচ্ছে তা তো নির্বাচন কমিশনের আগরতলা ও দিল্লি অফিসের কন্ট্রোল রুম থেকেই তদারকের ব্যবস্থা রয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, কমিশন সে দিনই বিষয়টি নিয়ে কেন উদ্যোগী হয়নি?

Lok Sabha Election 2019 Tripura Politics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy