ব্রণ হওয়ার কি নির্দিষ্ট কোনও কারণ রয়েছে? এ বিষয়ে নানা জনের নানা মত। কেউ বলেন, অতিরিক্ত ভাজাভুজি খেলেই ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। আবার কারও ধারণা, তৈলাক্ত ত্বক হলেই ব্রণ হবে। আসলে কোনটি ব্রণর সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে তা বোঝা যায় না। বেশি প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করলেও ব্রণর ঝুঁকি থাকে। রূপটানের সময়ে তাই নিয়ম মানা জরুরি।
অন্যের ব্যবহৃত আইলাইনার, মাস্কারা, আইশ্যাডো ভুলেও ব্যবহার করবেন না। এতে চোখে রোগজীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। চোখে জ্বালা, যন্ত্রণা, অ্যালার্জির মতো সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।
লিপস্টিকের ক্ষেত্রেও একই ভাবে সতর্ক হতে হবে। ঠোঁটের সংক্রমণ হলে বদলে যেতে পারে ঠোঁটের নিজস্ব রং। এই ভুলের কারণে ভাইরাল সংক্রমণও হতে পারে।
আরও পড়ুন:
রূপটানের আগে ভাল করে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হবে। রাতে শোয়ার আগে মেকআপ তুলতেই হবে। না হলে ত্বকের সংক্রমণ হতে বাধ্য।
অপরিষ্কার হাতে মেক আপ করলেও কিন্তু ব্রণ হতে পারে। মেক আপ ব্রাশ ব্যবহার করলেও কিছু ক্ষেত্রে হাত লাগাতেই হয়। হাতে যদি জীবাণু লেগে থাকে, তাহলে সেই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ থেকেই ব্রণ জন্ম নিতে পারে। ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ এটি। তাই অবশ্যই হাত ধুয়ে তার পর মেক আপ করুন।
মেক আপ করার আগে দেখে নিন, যে প্রসাধনী ব্যবহার করছেন, তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে কি না। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া কোনও জিনিস ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে ব্রণ তো বটেই, এমনকি ত্বকের ক্যানসারেরও ঝুঁকি থাকে। ঝুঁকি এড়াতে এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকা জরুরি।