Advertisement
E-Paper

কুকথা নিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে নালিশ কমিশনে

বিদ্বেষমূলক ও অবমাননাকর মন্তব্য করায় ইতিমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথ, মায়াবতী-সহ নানা নেতা-নেত্রীর প্রচারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন।

নিজস্ব সং‌বাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৪৯
ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

কুকথায় শাস্তির ঢল নামতেই উৎসাহিত কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচারের অভিযোগ তুলে তাঁদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানাল। মোদী নির্বাচনী হলফনামায় তাঁর সম্পত্তি সম্পর্কে এক এক বার এক এক রকম তথ্য দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।

বিদ্বেষমূলক ও অবমাননাকর মন্তব্য করায় ইতিমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথ, মায়াবতী-সহ নানা নেতা-নেত্রীর প্রচারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। আজ কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, একাধিক নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতিকে বিদ্বেষমূলক কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা প্রচারে ধর্মকে টেনে এনেছেন। সেনার বীরত্বের কথা বলে ভোট চেয়েছেন। কংগ্রেসের দাবি, এটা নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার সামিল। জওয়ানদের নামে ভোট চাওয়া নিয়ে আজ মোদীকে নিশানা করেছেন এমএনএস নেতা রাজ ঠাকরেও। সোলাপুরে এক সভায় তিনি বলেন, ‘‘মোদী সবচেয়ে নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী। জওয়ানদের আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি না দিয়ে তিনি তাঁদের নামে ভোট চান।’’

একই সঙ্গে কালো বাক্স রহস্য নিয়ে কমিশনকে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছে কংগ্রেস। গত ৯ এপ্রিল কর্নাটকের চিত্রদূর্গে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ছিল। সেই জনসভা শেষ হতেই একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। তাতে দেখা যায় ওই হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার ছাড়াও আরও তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। তার একটি থেকে একটি কালো বাক্স দ্রুত নামিয়ে একটি সাদা গাড়িতে তোলা হয়। বাক্সটি রাখা হতেই গাড়িটি দ্রুত গতিতে হেলিপ্যাড এলাকা ছেড়ে চলে যায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি আনন্দবাজারের। তবে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার দাবি, সেই গাড়িটি কোনওভাবেই প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের অংশ ছিল না এবং ওই কালো বাক্সে টাকা ছিল। যা কর্নাটকে বিজেপির ভোট খরচের জন্য আনা হয়েছিল। ওই বাক্সে কী ছিল এখন তা খতিয়ে দেখার জন্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অন্য দিকে মোদীর সম্পত্তি নিয়েও সরব হয়েছে রাহুল গাঁধীর দল। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেড়ার দাবি, হলফনামায় নিজের সম্পত্তি সম্পর্কে তথ্য গোপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের অভিযোগের ভিত্তি একটি জনস্বার্থ মামলা। মহারাষ্ট্রের এক সাংবাদিক সাকেত গোখলে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। সেই আবেদনে গোখলে জানান, ২০০৭ সালের গুজরাতে নির্বাচনের সময়ে হলফনামায় গাঁধীনগরে তাঁর একটি জমির কথা উল্লেখ করেছিলেন মোদী। ওই জমি তাঁকে গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালের বিধানসভা ভোট অথবা ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের হলফনামায় এই জমির কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

Lok Sabha Election 2019 Narendra Modi Amit Shah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy