নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে এই প্রচ্ছদই ছেপেছে ‘টাইম’ পত্রিকা।
মার্কিন পত্রিকা ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তাঁকে ভারতের ‘ডিভাইডার ইন চিফ’ বা ‘বিভেদ গুরু’ আখ্যা দেওয়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘টাইম’ ম্যাগাজিনে এই প্রতিবেদনের লেখক পাকিস্তান বংশোদ্ভূত বলে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের ২০ মে সংখ্যার প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভারতের ‘বিভেদ গুরু’ আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আদৌ কি পারবেন?’
‘টাইম’ ম্যাগাজিনের এই সংখ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিদ্ধ করা হয়েছিল ভারতে ‘বিষাক্ত ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ’ ছড়ানোর অভিযোগে। সেখানে লেখা হয়েছিল, ‘পাঁচ বছর আগে ২০১৪-য় উজ্জ্বল ভারত, শক্তিশালী ভারতের স্বপ্নের এক প্রতিভূ হিসাবে উঠে এসেছিলেন মোদী, যেন এক আস্থার দেবদূত— যাঁর এক হাতে হিন্দু পুনর্জাগরণ, অন্য হাতে দক্ষিণ কোরিয়ার ধাঁচে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কর্মসূচি। এখন শুধুই এক ব্যর্থ রাজনীতিক হিসাবে ভোট চাইতে এসেছেন মোদী, যিনি করে দেখাতে পারেননি। নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, সেই স্বপ্ন, সেই আস্থা আজ আর তাঁর সঙ্গে নেই।’
‘টাইম’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সেই প্রবন্ধ নিয়ে দেশের বিরোধী দলগুলির বিদ্রুপ আর কটাক্ষে বিদ্ধ হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া ছিল না মোদীর তরফে। শেষ পর্যন্ত তিনি মুখ খুললেন আর প্রশ্ন তুললেন লেখকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই। শুক্রবার তিনি বললেন, “টাইম একটি বিদেশি পত্রিকা। আর এই প্রতিবেদনের লেখক নিজেই বলেছেন তিনি পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছেন। তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বলার জন্য এটাই যথেষ্ট।’’
আরও পড়ুন: ‘বহুত বড়িয়া, ভেরি ইম্প্রেসিভ’, মোদীর সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ রাহুলের
মোদী এখন মুখ খুললেও এই প্রতিবেদনের লেখক আতিশ তাসিরের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। তাদের অভিযোগ ছিল, ‘‘এই আতিশ তাসির প্রয়াত পাকিস্তানি রাজনীতিক এবং ব্যবসায়ী সলমন তাসির এবং সাংবাদিক তভলিন সিংহের ছেলে। পাকিস্তানের স্বার্থ দেখতে গিয়েই নরেন্দ্র মোদীকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছেন তিনি। আর এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছে ‘টাইম’ ম্যাগাজিন।’’ বিজেপি মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্রের প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘‘এক জন পাকিস্তানির কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না।’’
আরও পড়ুন: মূর্তি ভাঙার ‘পাপ’ দূর করতে শ্রাদ্ধও হয়ে গেল বিদ্যাসাগরের!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy