Advertisement
E-Paper

টাইম-সাংবাদিককে পাকিস্তানি খোঁচা, মুখ খুললেন মোদী

যে সাংবাদিক ওই নিবন্ধটি লিখেছেন, সেই আতিশ তাসির ব্রিটেনে জন্মেছিলেন। কিন্তু তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তাঁর বাবা প্রয়াত সলমন তাসির পাকিস্তানের ব্যবসা এবং রাজনীতির জগতে পরিচিত মুখ ছিলেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৯ ০২:০৮
ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

মার্কিন পত্রিকার সাম্প্রতিক প্রচ্ছদ নিবন্ধে তাঁকে ‘ভারতের বিভেদের গুরু’ (ইন্ডিয়া’জ় ডিভাইডার ইন চিফ) বলা হয়েছে। পাঁচ বছরের শাসনকালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী দেশে শুধু ধর্মীয় বিভাজনের বীজ বুনেছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই লেখায়। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হলেও মোদী এত দিন মুখ খোলেননি। টাইমের সেই প্রচ্ছদ নিবন্ধ নিয়ে গত কাল মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, বিদেশি পত্রিকা এবং তার বিদেশি সাংবাদিক ইচ্ছাকৃত ভাবেই তাঁকে এবং তাঁর সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।

যে সাংবাদিক ওই নিবন্ধটি লিখেছেন, সেই আতিশ তাসির ব্রিটেনে জন্মেছিলেন। কিন্তু তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তাঁর বাবা প্রয়াত সলমন তাসির পাকিস্তানের ব্যবসা এবং রাজনীতির জগতে পরিচিত মুখ ছিলেন। আতিশের মা তভলিন সিংহ ভারতীয়। তিনিও একজন সাংবাদিক, লেখিকা। মোদী তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আতিশের পাকিস্তানের যোগ টেনে এনেছেন। তাঁকে গত কাল নিবন্ধটি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মোদী স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘যে পত্রিকায় এ সব লেখা হয়েছে, সেটি তো বিদেশি। সাংবাদিকটিও পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসা। ফলে তাঁর লেখার বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ তো এখান থেকেই পাওয়া যাচ্ছে।’’ মোদী ইঙ্গিত করেছেন, পাকিস্তানি সাংবাদিক ইচ্ছাকৃত ভাবে পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা বানিয়েছেন।

লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন নিবন্ধটি প্রকাশ্যে আসার পরে বিরোধী দলগুলি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মোদীকে আক্রমণ করতে। তখন বিজেপির মুখপাত্র তথা পুরীর বিজেপি প্রার্থী সম্বিৎ পাত্র ঠিক মোদীর সুরেই কথা বলেছিলেন। তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘এক জন পাকিস্তানি সাংবাদিকের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কী-ই বা আশা করা যায়।’’ প্রধানমন্ত্রী নিজেও আজ সেই প্রসঙ্গ তুলেই অভিযোগ করেছেন যে, পাকিস্তানের সাংবাদিক বলেই আতিশ এ ভাবে লেখার প্রতি ছত্রে তাঁকে হেনস্থা করেছেন। লেখাটি প্রকাশ্যে আসার পরে আতিশের উইকিপিডিয়া পেজ-এ হানা দিয়ে ‘মোদী ভক্তেরা’ তাঁকে ‘কংগ্রেসের জনসংযোগ ম্যানেজার’ আখ্যাও দিয়েছেন।

গত কাল আবার তেলঙ্গানা বিজেপির পক্ষ থেকেও টাইম-এর ওই নিবন্ধের সমালোচনা করা হয়েছে। করুণা গোপাল নামে বিজেপির মুখপাত্র সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেছেন, ‘‘বিভাজন নয়, নরেন্দ্র মোদী হলেন দেশের আসল সমন্বয়সাধক।’’ তাঁর আশঙ্কা, ভোট চলাকালীন এই নিবন্ধ প্রকাশ্যে আসায় ভোটারদের মধ্যে এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

Lok Sabha Election 2019 Divider in Chief Narendra Modi TIME Magazine
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy