ছবি: রয়টার্স।
তাঁর প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে তেইশের বেশি আসন পাবে বিজেপি। তা সম্ভব কি না, টিভি সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হলে নরেন্দ্র মোদী বললেন, ‘‘আমি কোনও সংখ্যার বিচারে যাই না।’’ তবে একই সঙ্গে জানালেন, অমিতের পর্যবেক্ষণে তাঁর অগাধ আস্থা আছে।
প্রশ্ন ছিল, গত পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং উত্তর-পূর্বে বিজেপি অনেক খেটেছে। মোদী এই রাজ্যগুলি থেকে কত আসন আশা করেন? পশ্চিমবঙ্গে কি আসন বাড়বে? মোদী উত্তর দেন, ‘‘দেশ জুড়ে বিজেপির উত্থান হচ্ছে। তাই আমাদের আসনও বেড়েছে। যেখানে সব চেয়ে বেশি জিতেছি, সেখানে প্রভাব ধরে রেখে ভোট শতাংশ বাড়াব। যেখানে দু’একটা আসন কমেছিল, সেখানে আসন বাড়াব। সারা দেশেই আমাদের সমর্থনে ঢেউ এসেছে।’’
সেই ঢেউ পশ্চিমবঙ্গেও রয়েছে? প্রশ্নের উত্তরে মোদী বলেন, উত্তর-পূর্ব থেকে পশ্চিমের কচ্ছ— ঢেউ রয়েছে সারা দেশে। তখনই পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৩টিরও বেশি বিজেপি পাবে বলে যে দাবি অমিত করেছিলেন, তা নিয়ে জানতে চাওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। ওড়িশায় ২১টি মধ্যে ১১-১২টি আসন বিজেপি পাবে বলেও জানিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তখনই মোদী জানান, তিনি সংখ্যায় যাবেন না। কিন্তু একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার ভোটের প্রচার সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়, অমিত শাহের ক্ষেত্রে তা হয় না। কিন্তু অমিত সারা বছর ধরে যত পরিশ্রম করেন, আর কোনও জাতীয় দলের নেতা তা করেন বলে আমার মনে হয় না। শুধু ভোটের সময়ে নয়, তিনি স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে মাটির কাছাকাছি থেকে পরিস্থিতি বুঝে নেন। বিজেপি তার সুফল পাচ্ছে। তাই ওঁর পর্যবেক্ষণে আমার অগাধ আস্থা আছে।’’ অন্ধ্রপ্রদেশে জগন্মোহন রেড্ডি এবং তেলঙ্গানায় চন্দ্রশেখর রেড্ডির সঙ্গে ভোটের পরে কি জোট হবে? মোদীর দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় আসন সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েই সরকার গড়বে বিজেপি। সে ক্ষেত্রে কারও সাহায্যই লাগবে না। তবে বিজেপির লক্ষ্য নিছক সরকার গড়া নয়, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাই বিজেপির বিরোধিতা করা বা এক জন মাত্র সাংসদের দলগুলিকেও পাশে চান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy