কংগ্রেস নেতা মান্নে কৃশাঙ্ক। —ফাইল চিত্র।
দল তাঁকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেয়নি, সেই রাগে-ক্ষোভে দলের পতাকা, পোস্টার-সহ ১৫ লক্ষ টাকার সামগ্রী পুড়িয়ে দিলেন তেলঙ্গানা কংগ্রেসের মুখপাত্র মান্নে কৃশাঙ্ক। তার পরই ইস্তফা দিয়ে দেন দল থেকে।
কৃশাঙ্কের একটি ভিডিয়ো ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে নির্বাচনের টিকিট না দেওয়ার তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি এন উত্তম কুমার রেড্ডিকে যাচ্ছেতাই বলছেন এই দলিত নেতা। ‘রাজ্যে কংগ্রেসের হারার জন্য দায়ী এই রেড্ডি। রাজ্য থেকে কংগ্রেস মুছে যাবে। সে দিন আর খুব দূরে নেই’— ভিডিয়োতে কৃশাঙ্ককে এই কথাও বলতে শোনা যায়।
সূত্রের খবর, পেদ্দাপল্লি সংসদীয় ক্ষেত্র থেকে লড়তে চেয়ে দলের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার কৃশাঙ্ক। কিন্তু দল তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ। আর তাতেই বেজায় চটে যান এই দলিত নেতা। তিনি বলেন, “ নিশ্চিত ছিলাম যে পেদ্দাপল্লি থেকে এ বারের নির্বাচনের টিকিট পাব। ওই আসনটি তফসিলি প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত। নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রচুর টাকাপয়সা খরচ করেছি। এত কিছু করার পরে যখন শুনলাম আমাকে টিকিট না দিয়ে ওই আসনে এ চন্দ্রশেখরকে দেওয়া হয়েছে, ,সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি।”
আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদ চিকিৎসক থেকে গোয়ার নয়া মুখ্যমন্ত্রী, কে এই প্রমোদ সবন্ত?
আরও পড়ুন: বিজেপির থিম সং নিয়ে থানায় অভিযোগ, বাবুল বললেন, ‘সত্যি কথা গায়ে লেগেছে’
ভিকারাবাদ থেকে ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন চন্দ্রশেখর। কৃশাঙ্কের অভিযোগ, চন্দ্রশেখর এক জন বিক্ষুব্ধ নেতা। তাঁকে দল সাসপেন্ড করেছিল। গত সপ্তাহেই তার বিরুদ্ধে সেই সাসপেনশন তুলে নেওয়া হয়। আর তার ঠিক দু’দিনের মধ্যেই পেদ্দাপল্লির টিকিট দেওয়া হয় চন্দ্রশেখরকে। বলেন, “এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত হতাশ এবং অপমানিত বোধ করছি।” স্থানীয় সূত্রের খবর, কৃশাঙ্ক লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর চিন্তাভাবনা করছিলেন। কিন্তু দল থেকে নাকি আশ্বস্ত করা হয় পেদ্দাপল্লির আসনটি তাঁকে দেওয়া হবে। তার পরই তিনি নিজের ভাবনা বদল করেন। কিন্তু পরে দল তাঁকে টিকিট দিতে অস্বীকার করে।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রবিবারে দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই সোমবার হায়দরাবাদ ছুটে যান কৃশাঙ্ক। সেখানে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির(টিআরএস) কার্যনির্বাহী সভাপতি কে টি রামা রাওয়ের সঙ্গে দেখা করে টিআরএস-এ যোগ দেন।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সর্বে সত্যনারায়ণের জামাই কৃশাঙ্ক। বিধানসভা নির্বাচনের সময় সেকেন্দরাবাদ ক্যান্টমেন্ট থেকে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়েও কৃশাঙ্ককে টিকিট না দিয়ে তাঁর কাকাকে ওই আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে কংগ্রেস।
(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy