Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
West Bengal News

বিজেপির থিম সং নিয়ে থানায় অভিযোগ, বাবুল বললেন, ‘সত্যি কথা গায়ে লেগেছে’

রাজ্য বিজেপির নির্বাচনী ‘থিম সং’ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ল। ওই গানে তৃণমূল এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসম্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

মুম্বইয়ে বিজেপির প্রচার গান রেকর্ডিং বাবুল সুপ্রিয়র। —ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি

মুম্বইয়ে বিজেপির প্রচার গান রেকর্ডিং বাবুল সুপ্রিয়র। —ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ১৩:৫২
Share: Save:

রাজ্য বিজেপির নির্বাচনী ‘থিম সং’ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ল। ওই থিম সংয়ে তৃণমূল এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসম্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

রবিবার মুম্বইয়ে থিম সংটি রেকর্ড করেছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। ‘এই তৃণমূল আর নয়’ শীর্ষক থিম সংটির একটা বড় অংশ বাবুলের লেখা। সুর, সম্পাদনা, সংমিশ্রণ— সবই তাঁর নিজের। সোমবার সেই গান সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসে। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান স্টুডেন্টস লাইব্রেরি কোঅর্ডিনেশন কমিটি নামে একটি সংগঠন আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গৌরব গুপ্ত এ দিন বলেন, “গোটা থিম সংয়ে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুৎসা ছড়ানো হয়েছে। অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “বাবুল নিজে এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। তিনি কী ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এমন অসম্মানজনক শব্দ তাঁর গানে ব্যবহার করলেন?” অভিযোগপত্রের সঙ্গে বাবুলের থিম সংয়ের একটি সিডি পুলিশকে দিয়ে তিনি অনুরোধ করেন, অবিলম্বে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সেই অভিযোগ পত্র। নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে দীপাই, ১১ প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা কংগ্রেসের

আরও পড়ুন: জোটের পথে ইতি, বলছে না কোনও পক্ষই​

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বাবুল যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘সত্যি কথা খুব গায়ে লাগে, তাই তৃণমূলের গায়ে লেগেছে।’’ বামেরাও অভিযোগ তুলেছে, তাদের স্লোগান ‘চুরি’ করে ওই থিম সং লেখা হয়েছে। সে প্রসঙ্গ তুলে বাবুল বলছেন, ‘‘ঠিকই বলছেন ওঁরা। বাংলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মাঠে-ময়দানে যে সব কথা বলেছে, গায়ক বাবুল সেগুলোকে একত্র করে সুরে বেঁধেছে।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘ফুটবে এ বার পদ্মফুল, বাংলা ছাড়ো তৃণমূল— এই অংশটুকুকে বাদ দিয়ে বাকি গানটা তো সিপিএমও ব্যবহার করতে পারে। এই কথাগুলোই বাংলার মানুষ জোর গলায় বলতে চাইছেন, কিন্তু বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই কথাগুলোকে সামনে নিয়ে আসাই তো একজন শিল্পীর কাজ। সেটাই আমি করেছি।’’ এখানেই থামছেন না আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ। তিনি বলছেন, ‘‘যদি জোর করে ওই লাইনগুলোকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করে, তা হলে আরও বেশি করে প্রমাণ হয়ে যাবে যে, ওগুলোই সবচেয়ে বড় সত্যি। তাই ওই লাইনগুলোকেই সবচেয়ে ভয় পেয়েছে।’’

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলি‌শ কমিশনারেটের এক শীর্ষ কর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সারবত্তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE