পুষ্পাঞ্জলি: প্রচারের ফাঁকে বারাণসীর রাজেন্দ্র প্রসাদ ঘাটে প্রিয়ঙ্গা গাঁধী বঢরা। বুধবার। ছবি: পিটিআই
কথা দিয়ে রাখেন না, নিজের বিজ্ঞাপন করতেই ব্যস্ত নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারাণসীতে দাঁড়িয়ে ‘প্রমাণ’ হাতে নিয়ে এই ভাষাতেই মোদীকে আক্রমণ করলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
গঙ্গা বক্ষে তিন দিনের প্রচারের শেষ পর্বে প্রিয়ঙ্কা আজ পৌঁছন বারাণসীতে। রামনগর ঘাট থেকে মোটরবোটে অসিঘাট। তার পরে দশাশ্বমেধ ঘাটে আরতি। ভিড় করে থাকা উৎসাহী সমর্থকেরা তাঁর দিকে ফুল ছুড়তে থাকেন। তবে শুধু কংগ্রেসিরাই নয়, প্রিয়ঙ্কার জন্য অপেক্ষা করে ছিল বিজেপির ‘অভ্যর্থনা’ও।
দলের সমর্থকদের সামনে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা নিজেই তুলে ধরেন সে কথা। বলেন, ‘‘আমি রাস্তা দিয়ে আসছিলাম। তখন বিজেপির কেউ কেউ স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে আমাদের রাজনীতি এমন নয়। কংগ্রেস কর্মীরা ইংরেজের মার সয়েছে। কিন্তু কারও উপরে হাত তোলেনি। শুধু সত্যিকে সামনে এনেছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বারাণসীতে দাঁড়িয়ে এ দিন নরেন্দ্র মোদীর ‘সত্যি’কেও সামনে আনতে চান রাজীব-কন্যা। গত লোকসভা ভোটে বিজেপির ইস্তাহার তুলে ধরে বলেন, ‘‘বারাণসীর জন্য মোদীজির দেওয়া আটটি প্রতিশ্রুতির কথা এখানে রয়েছে।’’ তার পর অনেকটা মোদীর ঢঙেই, ‘‘এর মধ্যে একটা প্রতিশ্রুতিও পূরণ হয়েছে কি হয়নি?’’ প্রিয়ঙ্কার মন্তব্য, ‘‘প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদী একটা কথাও রাখেননি। প্রচারের রাজনীতি খুব সোজা। যে কেউই করতে পারে।’’
এ দিন পুরনো রামনগরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর বাসভবনে যান প্রিয়ঙ্কা। শাস্ত্রী চকে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মূর্তিতে মালা দেন তিনি। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে ‘গঙ্গা যাত্রা’-র কর্মসূচি শেষ করেন প্রিয়ঙ্কা।
প্রয়াগরাজ থেকে বারাণসী— প্রায় ১৪০ কিলোমিটারের সফরে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের নেতারাই শুধু নন, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গী ছিলেন কয়েক জন পড়ুয়াও। উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে এই সফরে বিভিন্ন মন্দির, দরগায় গিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী। বিজেপি যে এতে উদ্বিগ্ন, তা-ও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে প্রিয়ঙ্কার সামনে মোদীর নামে স্লোগান ওঠায়। বিজেপির শীর্ষ নেতারাও তাঁকে আক্রমণ শুরু করেন। তবে বিজেপিই শুধু নয়, প্রিয়ঙ্কাকে কটাক্ষ করেছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ও মুলায়ম সিংহের ভাই রামগোপাল যাদবও। বিভিন্ন মন্দিরে প্রিয়ঙ্কার যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘বিপদ বুঝলেই মানুষ মন্দিরে যায়। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্কট তো রয়েইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy