Advertisement
E-Paper

এ বার অন্যত্রও প্রচারে যাবেন প্রিয়ঙ্কা

প্রিয়ঙ্কা রাজনীতিতে পা রাখার পর রাহুল গাঁধী তাঁকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। ইতিমধ্যেই নিজের এলাকা ছাপিয়ে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেও প্রচার করেছেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৯ ০৫:০৫
প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। -ফাইল ছবি।

প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। -ফাইল ছবি।

অমেঠী-রায়বরেলীতে আগামিকাল প্রচার শেষ হয়ে গেলে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা এ বারে দেশের অন্য প্রান্তেও প্রচারে বেরোবেন।

প্রিয়ঙ্কা রাজনীতিতে পা রাখার পর রাহুল গাঁধী তাঁকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। ইতিমধ্যেই নিজের এলাকা ছাপিয়ে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেও প্রচার করেছেন তিনি। কেরলে রাহুলের নতুন কেন্দ্র ওয়েনাড সামলেছেন। তার মধ্যেই অন্য রাজ্য থেকেও প্রিয়ঙ্কাকে প্রচারে নামানোর দাবি উঠছে দলের মধ্যে। মাঝে সুস্মিতা দেবের অনুরোধে

এক বার অসমের শিলচরে গিয়েছিলেন। এ বারে চার দফা ভোটের পর যখন আর মাত্র ন’টি রাজ্যের ১৬৯টি আসনে ভোট বাকি, তখন অন্য রাজ্যেও প্রিয়ঙ্কার প্রচারে সম্মতি দিয়েছেন রাহুল।

কংগ্রেস সূত্রের মতে, আর তিন দফার ভোট হবে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, দিল্লি, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে। উত্তরপ্রদেশে ভোট মূলত পূর্ব প্রান্তে। যার দায়িত্ব পুরোটাই প্রিয়ঙ্কার উপরে। সেখানেই রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসী। ফলে সেখানে প্রিয়ঙ্কা প্রচার তো করবেনই, পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, এর ফাঁকে আপাতত দিল্লি ও হরিয়ানার মতো রাজ্যেও জনসভা ও রোড-শো করবেন তিনি। রবিবার দিল্লিতে প্রিয়ঙ্কার রোড-শো হওয়ার কথা। মঙ্গলবার হরিয়ানায় দীপেন্দ্র হুডা, শৈলজাদের জন্য প্রচারে

যাবেন প্রিয়ঙ্কা।

শনিবার প্রচারের শেষ লগ্নে রায়বরেলীতে ঝাঁঝালো ভাষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধেছেন প্রিয়ঙ্কা। কৃষকদের এক সমাবেশে মোদীকে কটাক্ষ করে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘যিনি নিজেকে দেশের চৌকিদার বলেন, তাঁর আমলে কৃষকরাই নিজেদের জমির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চৌকিদার হয়ে গেছে! ওরা শুধু মিথ্যে কথা বলেছে আর বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আসল ছবিটা

পুরো আলাদা।’’

দিল্লিতে কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কা রাজনীতিতে আসার পর এক সঙ্গে তিনটি বিষয় সুকৌশলে হচ্ছে। প্রথমত, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের প্রায় পুরোটাই প্রিয়ঙ্কার হাতে দিয়ে সেখানে হারানো সংগঠন ফিরিয়ে আনতে চাইছেন রাহুল। দুই, প্রিয়ঙ্কা উত্তরপ্রদেশে মাটি কামড়ে পড়ে থাকায় রাহুল দেশের বাকি অংশে অনেকটা সময়

দিতে পারছেন। তিন, এ সবের মধ্যেই প্রিয়ঙ্কা নিজের সঙ্গে তাঁর ছেলে রেহান ও মেয়ে মিরায়াকেও নানা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। গাঁধী পরিবারের পরের প্রজন্মের হাতেখড়িটিও সকলের অলক্ষ্যে ধীরে ধীরে হয়ে যাচ্ছে।’’

সম্প্রতি রাহুল জানিয়েছেন, এত দিন ছেলে-মেয়েকে বড় করার জন্যই রাজনীতিতে পাকাপাকি ভাবে আসেননি প্রিয়ঙ্কা। তবে প্রিয়ঙ্কা-পুত্র রেহানকে ক’দিন আগেই রাহুল তিরুপতি মন্দিরে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করে, তা হলে কী ধীরে ধীরে রেহানকেও রাজনীতিতে আনার তোড়জোড় চলছে?

Lok sabha election 2019 Congress Priyanka Gandhi Election Campaign
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy