নরেন্দ্র মোদী এবং রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
আগ্রাসী এবং দূরদর্শিতার কোনও ছাপ নেই— বিজেপির সদ্য প্রকাশিত ইস্তাহারকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। একই সঙ্গে টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘এই ইস্তাহারে মিলছে এক বিচ্ছিন্ন মানুষের কণ্ঠস্বর’। নাম না করলেও এই কটাক্ষ যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশেই, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই কারও।
সোমবার বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘‘ঠান্ডা ঘরে বসে থেকে দারিদ্রের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।’’ এক দিন পর কংগ্রেস শিবির থেকে মিলল তার প্রত্যুত্তর। আর সেই কাজটা করলেন খোদ সভাপতি রাহুলই।
আজ সকালেই টুইট করে বিজেপির ইস্তাহার নিয়ে নিজের বক্তব্য জানান রাহুল। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আলোচনার মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের ইস্তাহার। লক্ষ লক্ষ মানুষের কথা আছে এই শক্তিশালী ইস্তাহারে। সেখানে বিজেপির ইস্তাহার বানানো হয়েছে বন্ধ ঘরে, যা আসলে এক বিচ্ছিন্ন মানুষের একার কথা। একই সঙ্গে এই ইস্তাহার আগ্রাসী এবং তাতে দূরদর্শিতার চিহ্নমাত্র নেই।’
The Congress manifesto was created through discussion. The voice of over a million Indian people it is wise and powerful.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 9, 2019
The BJP Manifesto was created in a closed room. The voice of an isolated man, it is short sighted and arrogant.
গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে নিজেদের ইস্তাহার সামনে আনে বিজেপি। সেখানে দেশের নিরাপত্তা, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি কৃষকদের কল্যাণে বিশেষ প্রকল্প এবং দেশের পরিকাঠামোতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়েছে। ক্ষমতায় এলে মধ্যবিত্তের জন্য পরের পাঁচ বছরে কর ছাড়ের কথাও বলেছে বিজেপি। একই সঙ্গে নিজেদের পুরনো দাবি অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গও রাখা হয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ইস্তাহার প্রকাশ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘‘জাতীয়তাবোধই আমাদের অনুপ্রেরণা, গরিবদের শক্তিশালী করাই আমাদের দর্শন এবং ভাল ভাবে সরকার চালানো আমাদের লক্ষ্য।’’
অন্য দিকে গত সপ্তাহেই নিজেদের ইস্তাহার সামনে এনেছে কংগ্রেস। সেই ইস্তাহার অনুয়ায়ী ‘ন্যায়’ প্রকল্পই হল তাদের তুরুপের তাস। ভারতের ২০ শতাংশ দরিদ্র মানুষকে বছরে ৭২,০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের ধারা অনুসরণ করে কৃষকদের ঋণ মকুব করার কথাও বলা হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহারে।
আরও পড়ুন: চাকরি হবে কত, একটি শব্দও খরচ করল না বিজেপি