হেমন্ত করকরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার পর এ বার ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর বললেন, ‘‘বাবরি মসজিদ ভেঙে বেশ করেছি।’’ ওই ঘটনার জন্য তিনি রীতিমতো গর্ব বোধ করেন। আর সেটা তিনি প্রকাশ্যেই বললেন, লোকসভা নির্বাচনের দু’দফা হয়ে যাওয়ার পর। ভোটের আচরণবিধি ভেঙে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বীকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন।
গত চার দিনের মধ্যে এই নিয়ে পর পর দু’টি বোমা ফাটালেন মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা। আগের বার মন্তব্য করেছিলেন মুম্বই পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার এক সময়ের প্রধান হেমন্ত করকরের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে তুলেছিলেন অত্যাচার ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এ বার সাধ্বী বললেন, ‘‘বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার জন্য আমি গর্ব বোধ করি।’’ মধ্যপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচন অফিসার এ দিন সাধ্বীকে ধরান কমিশনের দ্বিতীয় নোটিস। গত কালই কমিশন তাঁকে প্রথম নোটিসটি ধরিয়েছিল ‘অশোক চক্র’ বিজয়ী প্রয়াত পুলিশ অফিসার করকরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য।
একটি হিন্দি টেলিভিশন চ্যানেল ‘আজতক’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাধ্বী বলেন, ‘‘’৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার কাজে আরও অনেকের সঙ্গে আমিও সামিল হয়েছিলাম। তা জন্য আমি গর্ব বোধ করি। কারণ, ওই মসজিদ আমাদের দেশের একটি কলঙ্ক ছিল।’’ এই সপ্তাহেই ভোপালে দলীয় কর্মীদের একটি সভায় সাধ্বী বলেন, ‘‘২০০৮ সালের বিস্ফোরণের ঘটনায় আমাকে গারদে পরে আমার উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছিলেন হেমন্ত (করকরে)। আমার শ্লীলতাহানিও করেছিলেন। সে জন্য আমি ওঁকে অভিশাপ দিয়েছিলাম। সেই শাপেই ২৬/১১ ঘটনায় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ওঁকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল।’’ বীরত্বের সঙ্গে ২৬/১১-র ঘটনার মোকাবিলার জন্য পরে ‘অশোক চক্র’ দিয়ে সম্মান জানানো হয় প্রয়াত করকরেকে।