Advertisement
E-Paper

স্নাতকও নন, হলফনামায় মানলেন স্মৃতি

এর আগে ২০০৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মনোয়নের সঙ্গে হলফনামায় স্মৃতি জানিয়েছিলেন, ১৯৯৬-এ তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেছেন।

সংবাদ সংস্থা 

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৪২
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

তিনি যে স্নাতক স্তরের লেখাপড়াটাও শেষ করেননি, এ বার নিজেই জানিয়ে দিলেন মোদী সরকারের প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

অমেঠীতে তিনি এ বারও রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে পাশে নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে মিছিল করে জেলা সদর গৌরীগঞ্জে গিয়ে মনোনয়ন পত্র পেশ করেছেন স্মৃতি জুবিন ইরানি। সেই মনোনয়নের সঙ্গে দেওয়া হলফনামায় প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯৯৩-এ দিল্লির হোলি চাইল্ড অক্সিলিয়াম স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পরের বছরে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের করেসপন্ডেন্স কোর্সে বি কমে-এ ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি।

এর আগে ২০০৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মনোয়নের সঙ্গে হলফনামায় স্মৃতি জানিয়েছিলেন, ১৯৯৬-এ তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেছেন। আবার রাজ্যসভা নির্বাচনে গুজরাত থেকে প্রার্থী হওয়ার সময়ে তিনি যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাতে তিনি বি কম-এর পার্ট ওয়ান পাশ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৬-য় আহমের খান নামে এক জন দিল্লির আদালতে অভিযোগ করেন, নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে এক এক বার এক এক রকম হলফনামা দিয়ে বেআইনি কাজ করেছেন ইরানি। পরে জানা যায়— উচ্চশিক্ষামন্ত্রী হিসাবে স্মৃতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, এমনকি তথ্যের অধিকার আইনেও যদি কেউ তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে কোনও তথ্য জানতে চান, তাঁকে যেন তা না-দেওয়া হয়। বার বার জানতে চাওয়া হলেও নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা স্মৃতি দেননি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সে জন্যই তাঁর এ বারের হলফনামা নিয়ে আগ্রহ ছিল। তাতে তিনি মেনে নিয়েছেন, দেশের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী পদে থাকলেও নিজে উচ্চশিক্ষার চৌকাঠ পেরোতে পারেননি। ১৯৯৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পরের বছরে কেন তিনি করেসপন্ডেন্স কোর্সে বি কম-এ ভর্তি হয়েছিলেন, তা নিয়েও অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। তা হলে কি খারাপ নম্বরের জন্যই কোনও কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি শিক্ষামন্ত্রী? আবার তিনি আদৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কি না, তা নিয়েও সন্দিহান অনেকে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন কোনও নথি আদালতে দেখাতে পারেনি।

হলফনামায় স্মৃতির শিক্ষাগত যোগ্যতা।

রাহুল কাল যে পথে মিছিল নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন, ইরানি এ দিন সে পথেই মিছিল নিয়ে যান। তবে খোদ যোগীর উপস্থিতি সত্ত্বেও সে মিছিল ধারে ভারে কংগ্রেস সভাপতির মিছিলের পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি। পাশের জেলা থেকে অনেক সঙ্ঘ ও বিজেপি কর্মীকে গেরুয়া পোশাক পরিয়ে মিছিলে হাজির করা হয়। নাচের দলও ভাড়া করে আনা হয়। যোগী দাবি করেন, হারের ভয়েই রাহুল এ বার কেরলের ওয়েনাডেও প্রার্থী হয়েছেন। ইরানি দাবি করলেন, জেতার পরে রাহুল যত বার অমেঠীতে এসেছেন, তার চেয়ে বেশি বার এসেছেন তিনি। তাই জয় নিশ্চিত।

আবার আজই রাহুলের দলে নাম লিখিয়েছেন ইরানির ছায়াসঙ্গী বিজেপি নেতা রবিদত্ত মিশ্র। সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন মন্ত্রী রবিদত্ত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে গত কয়েক বছর অমেঠীতে এসে তাঁর বাড়িতেই উঠতেন স্মৃতি।

Lok Sabha Election 2019 general-election-2019-national লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ Smriti Irani BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy