রাহুল গাঁধীর সভাকে কেন্দ্র করে ফের প্রকাশ্যে এল লালুপ্রসাদের পরিবারের অন্দরের লড়াই। পাটলিপুত্র লোকসভা কেন্দ্রে গত কাল বিরোধী মহাজোটের সভায় এসেছিলেন কংগ্রেস সভাপত রাহুল। সেই সভায় হাজির থাকলেও ভাষণ দিতে পারেননি তেজপ্রতাপ। এতেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। শেষ দফার ভোটের আগে পণ করেছেন, নিজেকে ‘দ্বিতীয় লালুপ্রসাদ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ছাড়বেন তিনি। আরজেডিতে তেমন প্রভাব না থাকলে যাদবদের মধ্যে তেজপ্রতাপের কিছুটা সহানুভূতি আছে। ফলে তেজপ্রতাপের ঘোষণা ভোটে কিছুটা প্রভাব ফেলতেও পারে বলে ধারণা বিরোধী শিবিরের কিছু নেতা-কর্মীর।
জোটের সভায় দাদাকে বলতে না দেওয়ার বিষয়টিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চাননি তেজস্বী। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে কেউ বলেনি। বললে বিষয়টি দেখতাম।’’ তবে তেজপ্রতাপ বিষয়টি রাহুলকেও জানাবেন বলে ঘোষণা করেছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্যে লোক জুটিয়ে সভা করার ক্ষমতা নেই কংগ্রেসের। শুধু লালুপ্রসাদের জন্যই বিহারে কংগ্রেসের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে।’’ মিসা ভারতীরও উপরেও ক্ষুব্ধ তিনি। তা-ও গোপন রাখেননি।
গত কাল রাত দেড়টা নাগাদ তেজপ্রতাপ টুইটারে লেখেন, ‘‘আমার সম্মানীয় বাবা লালুপ্রসাদের অনুপস্থিতির কারণে আজ আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি।’’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে জুড়ে দেন, ‘‘আই মিস ইউ পাপা!’’ মনে করা হচ্ছে, দাদা তেজপ্রতাপকে আটকাতে কোনও কসুরই রাখছেন না ভাই তেজস্বী যাদব। পরিবারের রাজনীতিতে কার্যত কোণঠাসা তেজপ্রতাপ। এবং সে কারণেই বাবা লালুপ্রসাদকে মনে করছেন তিনি।
আরজেডিতে তেজপ্রতাপের তেমন প্রভাব না থাকলেও যাদব সম্প্রদায় বিষয়টিকে ভাল ভাবে নিচ্ছেন না বলেই রাজনৈতিক মহলের খবর। লালুপ্রসাদ জেলে থাকায় সে ভাবে যাদব সম্প্রদায়কে নিজের কাছে টানতে পারেননি তেজস্বী। বিহারে প্রায় ১৪ শতাংশ ভোট রয়েছে যাদব সম্প্রদায়ের। বরাবরই তা লালুপ্রসাদের বড় শক্তি। কিন্তু প্রায় চার দশক পরে এ বারই তিনি নির্বাচনে নেই। তাঁর জায়গায় একত্রিত পরিবারের ছবিটিও তুলে ধরা যায়নি। তাতেই যাদব সম্প্রদায়ের ভোট ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শেষ বেলায় তেজপ্রতাপের এমন ঘোষণা সেই ভোটে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিরোধী শিবিরের একাংশ নেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy