Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফের বিতর্কে তেজপ্রতাপ, রেগেমেগে ছাড়লেন মঞ্চ

তেজপ্রতাপের অভিযোগ, ‘‘জেনেশুনে আমার নাম রাখা হয়নি। লালু পরিবারকে ভাঙার চক্রান্ত হচ্ছে।’’

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

 নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৯ ০৫:১১
Share: Save:

দলীয় দফতরের ব্যানারে তাঁর নাম ও ছবি না থাকায় দানাপুরের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বাগ‌্‌যুদ্ধে জড়ালেন লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ। ধাক্কাধাক্কিও হল। দলের নেতা-কর্মীরাই ‘তেজপ্রতাপ মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিলেন। গোলমালে মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে হল তাঁকে। মা রাবড়ীদেবীর সামনেই গত কাল দানাপুরের এই ঘটনায় তেজপ্রতাপের ঘনিষ্ঠরা আঙুল তুলেছেন তেজস্বীর দিকে।

তেজপ্রতাপের অভিযোগ, ‘‘জেনেশুনে আমার নাম রাখা হয়নি। লালু পরিবারকে ভাঙার চক্রান্ত হচ্ছে।’’ যদিও সে কথা মানতে চাননি স্থানীয় নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘দলের নেতা হিসেবে লালুপ্রসাদ, রাবড়ীদেবী এবং তেজস্বীর নাম ব্যানারে রাখা হয়। এতেই অকারণে অশান্তি পাকাতে চাইছেন তেজপ্রতাপ।’’ পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের নেতা তথা লালু-ঘনিষ্ঠ বিধায়ক ভোলা যাদবকে আসরে নামতে হয়। তেজপ্রতাপের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতারা বিষয়টি তেজস্বীকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

গতকাল মায়ের সঙ্গে দিদি মিসা ভারতীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন তেজপ্রতাপ। দানাপুরের হাতিখানা মোড়ে দলীয় দফতরের উদ্বোধন করার কথা ছিল রাবড়ীদেবীর। ফিতে কেটে দলীয় দফতরে ঢোকেন সকলে। নারকেল ভাঙার পরেই লালুর জ্যেষ্ঠপুত্র দেখতে পান, তাঁর নাম কোথাও নেই। এতেই স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করতে শুরু করেন তিনি। অভিযোগ দলের স্থানীয় নেতাদের নাম করে গালিগালাজ করেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা ভেঙে দিতেও উস্কানি দেন। পরিস্থিতি খারাপ হলে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান তিনি।

রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, দানাপুরের ওই এলাকায় তেজস্বী অনুগামী নেতা ভাই বীরেন্দ্রর প্রভাব রয়েছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে ভাই বীরেন্দ্র না থাকলেও তাঁর অনুগামীরা ছিল। বীরেন্দ্রর সঙ্গে তেজপ্রতাপের সম্পর্ক খুবই খারাপ। তবে বিষয়টি নিয়ে ভোলা যাদব বলেন, ‘‘বিষয়টি মিটে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE