Advertisement
E-Paper

প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে? সত্যি বলেন মোদী? যাচাই করতে ‘জুমলা মিটার’ চালু করল তৃণমূল

নিজেদের ওয়েবসাইটে ‘জুমলা মিটার’ নামে আলাদা একটি বিভাগই খুলে ফেলেছে তৃণমূল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ২১:১৯
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী কী কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন? তার সবগুলি কি পূরণ হয়েছে?আবার এখন ভোট প্রচারে গিয়ে যে সব কথা বলছেন তার কতটা সত্যি? ২০১৯-এর ভোটের আগে তার পরীক্ষা করতে এ বার দলের ওয়েবসাইটে ‘জুমলা মিটার’ চালু করল তৃণমূল। তাতে মোদীর প্রতিশ্রুতি বা বক্তব্য এবং বর্তমান আসল চিত্র তুলনা করে অন্তত ৫০টি বিষয়ের সত্যমিথ্যা যাচাই করা হয়েছে। এবং সবক’টিই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে নতুন এই ‘জুমলা মিটার’-এর বিষয়ে জানিয়েছেনতৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ ব্রায়েন। তাঁর দাবি, সব ক্ষেত্রেই মোদী সরকার ‘ফেল’ করেছে।

সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে বিজেপির ২০১৯ লোকসভা ভোটের নির্বাচনী ইস্তাহার। কিন্তু ইস্তাহার প্রকাশের পরই কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল, কৃষি, খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, কর্মসংস্থানের মতো বিষয় এড়িয়ে প্রাধান্য পেয়েছে জাতীয়তাবাদ। একই সঙ্গে ২০১৪ সালে বিজেপি কালো টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা জমা, বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এ বারের ইস্তাহারে তার উল্লেখও নেই। ফলে বিজেপি তথা মোদীর আগের বারের প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই পূরণ হয়নি এবং এ বার ফের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা।এই সূত্রেই আরও এক ধাপ এগিয়ে তৃণমূল চালু করল ‘জুমলা মিটার’।

নিজেদের ওয়েবসাইটে ‘জুমলা মিটার’ নামে আলাদা একটি বিভাগই খুলে ফেলেছে তৃণমূল। তাতে ‘মোদী যা বলেছেন’ তার একটি অংশ। তার ঠিক নীচে রয়েছে ‘সত্য’।দু’টি বিষয়ের নীচে আবার তথ্যসূত্রও দেওয়া হয়েছে। এই দুই বক্তব্যের ডান দিকে রয়েছে একটি মিটার। যার বাঁ দিকে মিথ্যা (ফলস), এবং ডান দিকে সত্য (ট্রু)।মাঝখানে একটি কাঁটা। তার দু’পাশে দু’টি আলাদা রং। নির্দিষ্ট বিভাগে গেলেই ওই কাঁটাটি ঝুঁকে পড়ছে মিথ্যা, অর্থাৎ বাঁ দিকে। কারণ, তৃণমূলের দাবি অনুযায়ী, মোদীর যে সব বক্তব্য বা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে, তার সব ক’টিই মিথ্যা।

আরও পডু়ন: ভোটের দু’দিন আগে কোচবিহারের এসপি বদল, নিরপেক্ষ নির্বাচন কী ভাবে? প্রশ্ন পার্থর

আরও পডু়ন: ভোটের মুখে দন্তেওয়াড়ায় বিজেপি বিধায়কের কনভয়ে মাও হানা, বিধায়ক-সহ নিহত অন্তত ৫

তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কর্মসংস্থান ইস্যু। তৃণমূলের দাবি, মোদী বলেছিলেন, স্বরোজগার এবং কর্মসংস্থানমুখী উৎপাদন শিল্পে জোর দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, গত ৪৫ বছরে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি হয়েছে মোদী জমানায়। কাজ খুইয়েছেন প্রায় দু’কোটি মানুষ। তার পর একে একে উঠে এসেছে মধ্যবিত্তের জন্য বাড়ির প্রকল্প, কৃষিতে সর্বাধিক গুরুত্ব, কৃষিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কালো টাকা দেশে ফেরানো, মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করতে সংবিধান সংশোধন, ১০০ স্মার্ট সিটি তৈরি, সুশাসনের মতো প্রতিশ্রুতি। তৃণমূলের ‘জুমলা মিটার’-এর কাঁটা সব ক্ষেত্রেই ঝুঁকে পড়েছে ‘মিথ্যা’র দিকে।

একই সঙ্গে এ বারের ভোট প্রচারে গিয়ে যে সব কথা বলেছেন মোদী, সেগুলিও ‘জুমলা মিটার’-এ মেপে নিয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে এসে মোদী মমতাকে ‘স্পিডব্রেকার দিদি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, সারদা, নারদা কেলেঙ্কারি নিয়েও। চা বাগানের উন্নয়নে বাধা দেওয়ার খোঁচাও ছিল মোদীর নিশানায়। সেই সব বিষয়ও জুমলা মিটারে ফেলে মেপেছে এ রাজ্যের শাসক দল। সেগুলিরও সব কটির ফল ‘মিথ্যা’, দাবি তৃণমূলের।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এর পাশাপাশি এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে দার্জিলিং কেন্দ্রের ইভিএম নিয়ে একটি অভিযোগ করেছেন ডেরেক। এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বুধবার নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। দার্জিলিং কেন্দ্রে মোট প্রার্থী ১৬ জন। একটি ইভিএম-এ ১৬টি বাটনই রাখা যায়। কিন্তু তা হলে নোটা কোথায় যাবে? এই নোটার জন্যই দ্বিতীয় ইভিএম-এর ব্যবস্থা করেছে কমিশন। প্রথম ইভিএম-এ তৃণমূল প্রার্থী অমর রাইয়ের নাম এক নম্বরে। দ্বিতীয় ইভিএম-এ আবার এক নম্বরেই নোটা। তৃণমূলের আশঙ্কা, অনেকেই প্রথম ইভিএম-এ এক নম্বরে থাকা তৃণমূলের প্রার্থীকে ভোট দিতে গিয়ে দ্বিতীয় ইভিএম-এর এক নম্বরের বাটন টিপে ভোট দিয়ে ফেলতে পারেন, যা আসলে ‘নোটা’। ডেরেক বলেন, এই কারণেই তাঁরা দাবি জানাবেন যাতে দ্বিতীয় ইভিএম-এ প্রথম ১৫টি ঘর ফাঁকা রেখে শেষ ঘরে ‘নোটা’র বাটন রাখতে। এ ছাড়াও কমিশনে আরও বেশ কিছু অভিযোগ ও দাবিদাওয়া জানানো হবে বলে ডেরেক এ দিন জানিয়েছেন।

Lok Sabha Election 2019 TMC Jumla Derek O'Brien BJP Narendra Modi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy