মন-মেজাজের সঙ্গে গন্ধের সম্পর্ক নিবিড়। অ্যারোমাথেরাপি বা গন্ধ চিকিৎসার চলও নতুন নয়। তবে চিকিৎসার দরকার পড়ুক বা না পড়ুক, বিশ্রী গন্ধ যেমন বিরক্তিকর, তেমনই সুবাস মন চাঙ্গা করে দেয়। ভাল গন্ধ ভাল লাগে সকলেরই।
ঘর সুরভিত করতে সুগন্ধী মোম, রুম ফ্রেশনারের কমতি নেই মোটেই। তবে সকলেই যে সেই গন্ধ পছন্দ করেন এমন নয়।চড়া গন্ধে কারও কারও মাথা ধরে যায়। তা ছাড়া চিকিৎসকেরা বার বার সাবধান করছেন রাসায়নিক মিশ্রিত সুগন্ধীর ব্যবহার না করতে। তা হলে উপায়? কৌশল জানলে অন্দরমহল সুরভিত করতে বর্জ্যই যথেষ্ট।
শীতের বাজার ভরেছে কমলালেবুতে। লেবু যেমন খেতে ভাল, তেমন তার গন্ধটাও ভাল। লেবু খাওয়া হলে খোসাটির স্থান হয় বর্জ্য ফেলার পাত্রে। প্রয়োজনে নেই ভেবে সেটা ফেলেই দেওয়া হয়। সেই খোসা যেমন অর্থ সাশ্রয় করতে পারে, তেমনই ঘর ভরাতে পারে সুগন্ধে। কৌশল সহজ। জেনে নেওয়া যাক।
বাড়িতে অতিথি আসবে, বা সারা দিনের পর ক্লান্ত লাগছে? একটি পাত্রে জল নিয়ে বেশ কয়েকটি কমলালেবুর খোসা তাতে দিয়ে দিন। প্রথমে আঁচ একটু জোর দিয়ে জল ফুটে গেলে আঁচ কমিয়ে দিন। কমলালেবুর জল বাষ্পীভূত হয়ে ঘর মিষ্টি গন্ধে ভরিয়ে দেবে। প্রাকৃতিক সুবাস স্বাস্থ্যের পক্ষেই মোটেই ক্ষতিকর নয়। তা ছাড়া, মৃদু গন্ধ বড় স্বস্তিদায়কও।
উপায় আছে আরও। কমলালেবুর খোসা ফোটানো জল স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। স্নানঘর থেকে বেসিনে মাঝেমধ্যে স্প্রে করে দিন। বদল বুঝবেন নিজেই। ফিনাইল অথবা স্নানঘর পরিষ্কারের তরলে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। কমলালেবুর জল প্রাকৃতিক উপাদান। তাই বদ্ধ স্থানেও এটি দিলে, স্বাস্থ্যহানির ভয় থাকে না।
চাইলে এটি স্প্রে বোতলে ভরে স্নানের পরে গায়েও দিতে পারেন। প্রাকৃতিক সুগন্ধীর কাজ করবে। প্রশ্ন উঠতে পারে শীতে না হয় কমলালেবুর খোসার জোগান থাকে, গরমে কী হবে। এমন সময় মুশকিল আসান করতে পারে গন্ধরাজ লেবুর খোসা। একই ভাবে দারচিনি জলে ফুটিয়ে নিলেও ঘর ভরবে সৌরভে।