Advertisement
E-Paper

বিশ্বকাপ জয়ী স্মৃতি মন্ধানা জয় করেছেন চিনির লোভ, মিষ্টি খাওয়ায় রাশ টানবেন কী ভাবে?

একসময় মিষ্টি খাবার ছাড়তে পারছিলেন না। এখন আর মিষ্টি খেতে ইচ্ছাই করে না ক্রিকেটার স্মৃতি মন্ধনার। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কী ভাবে চিনি খাওয়ায় রাশ টানতে পারেন আপনিও?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:১৮
স্মৃতি মন্ধানার মিষ্টি খেতে ইচ্ছা হয় না। কেমন ভাবে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর চিনি খাওয়া বাদ দেবেন?

স্মৃতি মন্ধানার মিষ্টি খেতে ইচ্ছা হয় না। কেমন ভাবে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর চিনি খাওয়া বাদ দেবেন? ছবি: আনন্দবাজার ডট কম।

জীবনে ভাল থাকতে হলে আত্মনিয়ন্ত্রণ জরুরি। আর সেই পাঠেই অভ্যস্ত স্মৃতি মন্ধানা। ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের তিনি উজ্জ্বল তারকা। সম্প্রতি তাঁর বিয়ে ভাঙার খবর চর্চায়।

তবে ইতিমধ্যেই নানা সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তাঁর জীবনযাপনের খুঁটিনাটি। অত্যন্ত ইতিবাচক মানসিকতার অধিকারী ক্রিকেট-তারকা। কঠিন পরিস্থিতি সামলানো প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “আমি এক বার আমার ভাবনা বদলে নিয়ে যদি আগামী ৬-৭ দিনের পরিকল্পনা করে নিই, তা হলে আমার মনোযোগ সেই দিকেই থাকে। অন্য কিছু নিয়ে আর ভাবি না।” স্মৃতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মিষ্টি খাওয়ার লোভ তিনি বর্জন করেছেন।

চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরাও বলছেন, সুস্থ থাকতে হলে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। পুরোপুরি ছাড়তে হবে, সে কথা না বললেও সুস্বাস্থ্যের জন্য চিনিকে না বলতেই বলছেন ফিটনেস প্রশিক্ষকেরা। কোনটা স্বাস্থ্যকর, কোনটা নয়— সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকলেও লোভ সামলানো বড় কঠিন কাজ। অনেকেই বলেন, খাওয়ায় রাশ টানলেও, মিষ্টি খাওয়া ছাড়তে পারেন না। কারও আবার খাওয়ার শেষে একটা মিষ্টি না খেলে তৃপ্তি আসে না।

তবে এই পাঠেই এগিয়ে স্মৃতি। মহারাষ্ট্রের সাংলির মেয়ে স্মৃতি বলছেন, ‘‘এক সময় আমি কিছুতেই মিষ্টি বা চিনি খাওয়া ছাড়তে পারছিলাম না। তবে এখন আর মিষ্টি খেতে ইচ্ছাই হয় না। কখনও খেলে সেটা শুধু মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে। বিশেষ অনুষ্ঠানে বাড়ি গেলে মা যখন বলেন, ‘তোমার জন্য বানিয়েছি’, তখন খেয়ে নিই।’’

মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ কণিকা মলহোত্র এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মানসিক চাপ বা বিশেষ মানসিক পরিস্থিতিতে চিনি বা মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়। আবার দীর্ঘ দিন চিনি খাওয়া বর্জন করলে মস্তিষ্কের যে অংশে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়, সেখানে বদল আসে। যাকে নিউরোপ্লাস্টিসিটি বলা হয়। তা ছাড়া, ঘন ঘন চিনি বা মিষ্টি খেলে ডোপামিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে যে রিসেপ্টর, তার সংবেদনশীলতা কমে যায়। ফলে মিষ্টি খেলেও আর আগের মতো ভাল লাগা তৈরি হয় না। তবে মিষ্টির মাত্রা কমিয়ে দিলে, সংবেদনশীলতা পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে। তা ছাড়া, দীর্ঘ সময় চিনি জাতীয় খাবার কম খেলে বা বাদ দিলে পেটের পক্ষেও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

মিষ্টিতে রাশ টানা যাবে কী ভাবে

· চিনি খাওয়া ভাল নয়, এ কথা অনেকেই জানেন। তবে এককথায়, দীর্ঘ দিনের অভ্যাসে রাশ টানা যায় না। বরং ধীরে ধীরে সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হতে পারে।

· মিষ্টি খেতে ইচ্ছা হলে কিছুটা জোর করে চায়ে চুমুক দিন বা এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেয়ে নিন।

· মিষ্টি দেখেই লোভ হলে, সেই জায়গাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। হেঁটে আসুন বা কারও সঙ্গে খানিক গল্প করতে পারেন। এতে মনোযোগ ঘুরে যাবে।

· মিষ্টির বদলে এক টুকরো গুড়, বাদাম চাকতি, নাড়ু বা তিলের লাড্ডু মুখে দিতে পারেন।

· ইচ্ছা প্রবল হলে বড়জোর একটা খান। যে দিন মিষ্টি খাচ্ছেন, লক্ষ্য স্থির করে নিন তার পরের দু’দিন কোনও ভাবেই মিষ্টি খাবেন না।

পুরোপুরি চিনি ছাড়তে না পারলেও, অপেক্ষাকৃত স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবার খাওয়া এবং পরিমিত মাত্রাই হতে পারে সুস্বাস্থ্যের হাতিয়ার।

Smriti Mandhana Sugar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy