Advertisement
E-Paper

কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যেতে পারে ত্রিপুরা কংগ্রেস

গত ১১ এপ্রিল  পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তার প্রেক্ষিতে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের ভোট ১৮ এপ্রিল থেকে পিছিয়ে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে ২৩ এপ্রিল করা হয়।

বাপি রায়চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৫৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের পুনর্নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দীর্ঘ নীরবতায় সন্দিহান কংগ্রেস আইনি পরামর্শ নিচ্ছে। প্রয়োজনে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলে কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের সন্দেহ প্রধানমন্ত্রীর চাপের মুখে কমিশন নতি স্বীকার করছে।’’

গত ১১ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তার প্রেক্ষিতে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের ভোট ১৮ এপ্রিল থেকে পিছিয়ে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে ২৩ এপ্রিল করা হয়। বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে কমিশনের প্রাক্তন অফিসার বিনোদ জুৎসিকে নিয়োগ করে কমিশন। পূর্ব ত্রিপুরার ভোট মিটতেই জুৎসি পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের সমস্ত নথি ও ভোটের দিনের ভিডিয়ো ফুটেজ নিয়ে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন।

ইতিমধ্যে ওই আসনের রিটার্নিং অফিসারও কমিশনকে এক রিপোর্টে জানায়, প্রায় সাড়ে চারশো আসনে সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিকঠাক কাজই করেনি। বিরোধীদের প্রত্যাশা ছিল, জুৎসির রিপোর্টের ভিত্তিতে কমিশন বিরাট সংখ্যক বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দেবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কমিশন কিছু না বলাতেই বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে সংশয় ও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী অফিসার শ্রীরাম তরণীকান্তের সঙ্গে গতকাল বামফ্রন্টের এক প্রতিনিধিদ দল দেখা করেন। ভোটের ১৬ দিন পার হওয়ার পরেও কেন কমিশন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। ত্রিপুরার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিজন ধর জানান, মুখ্য নির্বাচনী অফিসার তাঁদের জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে সব তথ্য রয়েছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা দিল্লি থেকেই নেওয়া হবে। কংগ্রেসের মতো বামফ্রন্টও কি আইনের আশ্রয় নেবে? বিজন বাবু বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয় তা আগে দেখি।’’

আজ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘‘হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট যেখানে খুশি যাক। তবে আদালতে গিয়ে রাজনীতি করা যায় না। রাজনীতি করতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে।’’

Lok Sabha Election 2019 Tripura Election Commission Of India
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy