ভোটমুখী বিহারে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার দ্বারভাঙায় রাহুলের কনভয় থামানোর চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ করল কংগ্রেস। জেলা প্রশাসনের তরফে অবশ্য কংগ্রেসের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
দলিত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ‘শিক্ষা ন্যায় সংবাদ’ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। দ্বারভাঙার অম্বেডকর প্রেক্ষাগৃহে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। বুধবার রাতে জেলা প্রাশসনের তরফে জানানো হয়, অম্বেডকর হলে কর্মসূচি করা যাবে না। কিছুটা দূরে টাউন হলে তা করা যেতে পারে। বৃহস্পতিবার দ্বারভাঙায় পৌঁছে প্রথমেই অম্বেডকর হলের সামনে যায় রাহুলের কনভয়। কথা ছিল অম্বেডকরের মূর্তিতে মালা দিয়ে তিনি টাউন হলে যাবেন। কিন্তু অম্বেডকর হলে প্রবেশের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণেই রাহুলকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। কারণ, মূল কর্মসূচি হচ্ছে টাউন হলে।
আরও পড়ুন:
বেশ খানিক ক্ষণ পুলিশের সঙ্গে বচসা চলার পরে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন রাহুল। হেঁটেই টাউন হলে ‘শিক্ষা ন্যায় সংবাদ’ কর্মসূচিতে যোগ দেন কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ। বিহারের নির্বাচনে জাতগণনা (কাস্ট সেন্সাস) অন্যতম মূল বিষয়। সেই সূত্র ধরেই রাহুল বলেন, বিহারে কংগ্রেস জোটের সরকার হলে তিনটি কাজ নিশ্চিত করা হবে। এক, জাতগণনা নিশ্চিত করা, দুই বেসরকারি শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য উপযোজনা (সাব প্ল্যান) বলবৎ করা।
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, সাধারণ জনগণনার সঙ্গে এ বার জাতগণনাও করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পরে দেশে আর জনগণনা হয়নি। আবার স্বাধীনতার পরে দেশে কখনও জাতগণনাও হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার বলেনি, কবে জনগণনা বা জাতগণনা হবে। ছাত্রদের সভায় রাহুল বলেন, ‘‘ওরা আমাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। কারণ, আমার সঙ্গে আপনাদের শক্তি রয়েছে।’’ রাহুল আরও বলেন, ‘‘ডবল ইঞ্জিনের নামে এখানে একনায়কতন্ত্র চলছে।’’ হাতে অম্বেডকরের মূর্তি তুলে নিয়ে ‘জয় ভীম’ স্লোগানও দেন রাহুল। কর্মসূচি শেষ করে তিনি দ্বারভাঙা ছাড়েন দুপুরেই।