বিজেপি সাংসদ হরিশ দ্বিবেদী।
সংসদে জটায়ু! সাহারায় শিহরণ তিনি লেখেননি বটে! কিন্তু তাঁর মুখচ্ছবিতে শিহরণ বঙ্গে! বুধবার বিকেলে লোকসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে আলোচনার ইনিংস ওপেন করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের বস্তি নির্বাচনী কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ হরিশ দ্বিবেদী। টিভির পর্দায় তাঁকে দেখে চমকে যায় বাঙালি। উনচল্লিশ বছরের এই রাজনীতিবিদের চেহারার সঙ্গে হুবহু মিল সন্তোষ দত্ত অভিনীত প্রবাদপ্রতিম চরিত্র লালমোহন গাঙ্গুলির! হরিশের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার পরেই আলোড়ন পড়ে যায়। কেউ পরামর্শদেন পরিচালক সন্দীপ রায়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করিয়ে দিতে! কেউ বা বলেন, গড়পার থেকে শেষ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের বস্তি! আবার এক জনের সরস উক্তি, হরিশ কি ওঁর ছদ্মনাম? তবে বাস্তবের জটায়ুর সঙ্গে পরপর দু’বারের এই সাংসদটির কোনও মিলই নেই। পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হরিশকে বুধবার দেখা গিয়েছে কড়া ভাষায় অখিলেশ সিংহ যাদব এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করে ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বার্তা দিতে। জটায়ু-বৃত্তান্ত শুনে হরিশ দ্বিবেদী চমৎকৃত! সত্যজিৎ রায়ের নাম তাঁর বিলক্ষণ শোনা থাকলেও ফেলুদা কাহিনী তাঁর পড়া বা জানার বাইরে। বললেন, “আমাকে তো এর এর আগে এমন কেউ বলেননি। শুনে বেশ ভালই লাগছে। আগ্রহ রইল লালমোহনবাবু চরিত্রটির ছবি দেখার!”
বস্তুত, সন্তোষ দত্ত প্রয়াত হওয়ার পর ফেলুদা সিরিজের আর কোনও ছবি পরিচালনা করেননি সত্যজিৎ। তার অন্যতম কারণ ছিল জটায়ু চরিত্রে অভিনেতা না পাওয়া। এর পর সত্যজিৎপুত্র সন্দীপ চেষ্টা করেছেন। রবি ঘোষ, অনুপ কুমার, বিভূ ভট্টাচার্যের মতো অভিনেতা জটায়ুর চরিত্রে অভিনয় করলেও বাঙালির হৃদয়ে জটায়ু বলতে এক জনই। সন্তোষ দত্ত। হরিশকে এ দিন সংসদে দেখে তাই বঙ্গজনের হৃদয়ে খানিক হিল্লোল ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy