Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

জাত-বিচার চলছেই, হনুমান এ বার হলেন জাঠ!

হিন্দু, দলিত, জৈন, উপজাতি, মুসলিম হওয়ার পর হনুমান এ বার হলেন ‘জাঠ’! উত্তরপ্রদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী লক্ষ্ণী নারায়ণ চৌধরির ‘অমৃত বচনে’!

—ফাইল ছবি।

—ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৪
Share: Save:

হনুমানের জাতপাত-বিচার আর থামছে না। সেই ত্রেতা যুগে আবির্ভূত হনুমানের জাতটা কী ছিল, তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে এই কলি যুগের একুশ শতকেও!

হিন্দু, দলিত, জৈন, উপজাতি, মুসলিম হওয়ার পর হনুমান এ বার হলেন ‘জাঠ’! উত্তরপ্রদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী লক্ষ্ণী নারায়ণ চৌধরির ‘অমৃত বচনে’।

আর তা দেখে শুক্রবার বিজেপি সাংসদ প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের রসিকতা: ‘‘হনুমানজি নাগরিকত্বের নিরিখে চিনা ছিলেন। রটনা, চিনারা নাকি এমনটাই দাবি করেছেন!’’ কীর্তির রসিকতার কৃতিত্ব, তিনি হনুমানকে আর ভারতের সীমানায় বেঁধে রাখেননি!

উত্তরপ্রদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী লক্ষ্ণী নারায়ণ চৌধরি বলেছেন, ‘‘রামের স্ত্রী, সীতা দেবীকে অপহরণ করেছিল রাবণ। আর তার জন্য গোটা লঙ্কাপুরী জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন হনুমানজি। কোনও অন্যায় দেখলে এই ভাবেই এগিয়ে যান জাঠেরা। সেই জন্যই হনুমানজির জাতটা আসলে জাঠ।’’ ভোট কুড়োতে রামের সঙ্গে তাঁর পরম ভক্ত হনুমানের নাম উঠছে অনেক দিন ধরেই। তবে তাঁর জাত-বিচারে হুড়োহুড়িটা শুরু হয়েছে সবে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান-সহ সদ্য শেষ হওয়া ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রচারে।

আরও পড়ুন- হনুমান আসলে মুসলিম! বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতার​

আরও পড়ুন- হনুমানের পিঠেই তো ভারততীর্থ​

এ দিন লক্ষ্ণী নারায়ণের মন্তব্য, ‘‘হনুমান থেকেই সরাসরি জাঠ সম্প্রদায়ের জন্ম হয়েছে। জাঠেরা হনুমানের উত্তরসূরি। বংশধর। হনুমানজি আসলে জাঠ ছিলেন।’’

কখনও তিনি হয়ে যাচ্ছেন হিন্দু। কখনও ‘হিন্দু’ রামের পরম ভক্ত হওয়ার সুবাদে, ভোট কুড়োনোর জন্য হনুমানকে ‘দলিত’ বানানো হচ্ছে। বোঝানো হচ্ছে, দলিতরা বরাবরই হিন্দুদের ভক্ত, অনুগামী। বৃহস্পতিবারই উত্তরপ্রদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রীর দলীয় সতীর্থ বিধান পরিষদের বিজেপি সদস্য বুক্কাল নবাব বলেছিলেন, ‘‘হনুমান আদতে ছিলেন মুসলমান।’’ কেন, তার কারণও জানিয়েছিলেন নবাব। বলেছিলেন, ‘‘তাঁর নামের শেষ দু’টি অক্ষর দেখুন। তা হলেই বুঝবেন, হনুমান কেন মুসলমান।’’

গত মাসে ভোট প্রচারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জাত-বিচার করে জানিয়েছিলেন, হনুমান ছিলেন বনবাসী। দলিত। বজরঙ্গবলীই ভারতের সব প্রান্তের মানুষকে এক সূত্রে বেঁধেছিলেন। আদিত্যনাথ এও জানিয়েছিলেন, ‘যোগী’ হওয়ার আগে তিনিও দলিত ছিলেন।

ওই সময় ভোপালে এক জৈন সাধু দাবি করেছিলেন, হনুমান আসলে এক জন জৈন। উদিত রাজ নামে বিজেপির এক উপজাতি নেতা হনুমানকে বলেছিলেন ‘উপজাতি’ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE