তিন বছর আগে ‘প্রেমিকা’কে কাস্তে দিয়ে কোপানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তূরের এক যুবক। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে জেলের বাইরে আসেন তিনি। আবার সেই ‘প্রেমিকা’কেই কোপানোর অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় কোয়েম্বত্তূরের কুনিয়ামুথুরের কাছে এক ২৫ বছর বয়সি যুবতীকে কাস্তে দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। সালেমের বাসিন্দা বছর ত্রিশের দীনেশের প্রেমের প্রস্তাব ফেরানোর কারণে দু’বার হামলার শিকার হতে হয় ওই যুবতীকে।
জানা গিয়েছে, কুনিয়ামুথুরের রাইস মিল রোডের বাসিন্দা আক্রান্ত মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছের এক মুদি দোকানে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই তাঁর পিছু নেন দীনেশ। ফাঁকা জায়গায় পৌঁছোনোর পরই যুবতীর মাথায় আঘাত করেন তিনি। তার পর কাস্তে দিয়ে কোপাতে থাকেন। যুবতীর আর্তনাদে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই যুবতীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি।
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, ২০২০ সালে ইনস্টাগ্রামে ওই যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয় দীনেশের। দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। তবে দীনেশ প্রেমে পড়ে যান ওই যুবতীর। তার পর বার বার প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু যুবতী সেই প্রস্তাব ফেরানোয় রাগ বাড়তে থাকে দীনেশের। ২০২২ সালের ১১ জুলাই দীনেশ কোয়েম্বত্তূরে আসেন। সোজা চলে যান যুবতীর কাজের জায়গায়। সেখানেই দু’জনের মধ্যে বচসা বাধে। রাগের মাথায় সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে যুবতীকে কোপান দীনেশ। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন দীনেশ। তবে আবার ওই যুবতীকে কোপানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তিনি।