পঞ্জাবে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে এলপিজি ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষ। তার জেরে বিস্ফোরণ হল। ঝলসে প্রাণ হারালেন সাত জন। জখম হয়েছেন ১৫ জন। পঞ্জাবের হোসিয়ারপুর-জালন্ধর সড়কে মাণ্ডিয়ালা আড্ডার কাছে শনিবার এই ঘটনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ট্যাঙ্কারটি ঘোরার চেষ্টা করছিল। সে সময় পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তার জেরে বিপত্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ট্যাঙ্কারের চালক সুখজিৎ সিংহ, বলবন্ত রায়, ধর্মেন্দ্র বর্মা, মনজিৎ সিংহ, বিজয়, যশবিন্দর কৌর এবং আরাধনা বর্মা। ধর্মেন্দ্র এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাঁকে অমৃতসরের হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। পথে তাঁর মৃত্যু হয়। আহত কয়েক জনকে হাসপাতাল থেকে ইতিমধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের জেরে ট্যাঙ্কারের চালক ছাড়া ওই এলাকায় তখন যাঁরা ছিলেন, তাঁরা হতাহত হয়েছেন। আগুনের আঁচে পুড়েছে আশপাশের বাড়িঘরও।
আরও পড়ুন:
হোসিয়ারপুরের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার এই ঘটনায় সাত জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পঞ্জাবের রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়া এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে নিহত এবং আহতদের পরিবার পথ অবরোধ করেন ক্ষতিপূরণের দাবিতে। শেষে সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট গুরসিমরনজিৎ কৌরের প্রতিশ্রুতির পরে অবরোধ সরিয়ে দেন স্থানীয়েরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মন্ত্রীরা। অন্য দিকে, বিরোধী দল কংগ্রেস তদন্তের দাবি তুলেছে।
মাণ্ডিয়ালার বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী গুরমুখ সিংহ জানিয়েছেন, দু’টি যানের সংঘাতের সময়ে তিনি নিজের বাড়িতে কাছে স্নান করছিলেন। ঘটনাস্থলের কাছেই তাঁর বাড়ি। তাঁর কথায়, ‘‘বিকট শব্দ হয়। তার পরে আগুন ঘিরে ধরে আমাদের। পুড়ে গিয়েছেন আমার স্ত্রী, পুত্রবধূ। নাতিকে কোনও মতে চাদরে জড়িয়ে বাঁচিয়েছি।’’