খোলা খাবার। তাতে ভনভন করছে মাছি। রেস্তরাঁর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে এই দৃশ্য দেখে প্রথম ধাক্কাটা খেয়েছিলেন ফুড ইনস্পেক্টর। বাইরের দৃশ্য যদি এমন হয়, ভিতরের দৃশ্য না জানি কতটা কদর্য হতে পারে, এই আশঙ্কা নিয়ে রেস্তরাঁর রান্নাঘরে উঁকি দিতে আঁতকে উঠলেন ওই আধিকারিক। শুধু মাছিই নয়, রান্নাঘরের যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে ইঁদুর। কয়েকটিকে আবার খাবার উপভোগ করতেও দেখলেন ফুড ইনস্পেক্টর। বাইরের দৃশ্য যতটা না তাঁকে অবাক করেছিল, ভিতরের দৃশ্য ততটাই আতঙ্কিত করেছে তাঁকে। এমনই জানালেন ওই আধিকারিক।
ঘটনা মধ্যপ্রদেশের সাগরের একটি রেস্তরাঁর। বুন্দেলখণ্ড মেডিক্যাল কলেজের ঠিক উল্টো দিকেই রয়েছে সেই রেস্তরাঁ। শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁয় অভিযান চলছিল খাদ্য নিরাপত্তা দফতরের আধিকারিকদের। সেই অভিযানে বেরিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ফুড ইনস্পেক্টর প্রীতি রাই। তিনি জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজের উল্টো দিকের ওই রেস্তরাঁয় হানা দিতেই নাকে দুর্গন্ধ ভেসে আসে। তার পরই দেখা যায়, খাবারগুলি উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। আর সেগুলির উপর মাছি ভনভন করছে।
প্রচণ্ড অস্বাস্থ্যকর একটা পরিবেশ। ইনস্পেক্টর প্রীতির কথায়, ‘‘রেস্তরাঁর রান্নাঘরের তো হাল আরও খারাপ। গোটা দেওয়ালে তেলচিটে দাগ। এঁটো বাসনপত্র পড়ে রয়েছে। ইঁদুরের দৌরাত্ম্য চলছে। এ সব দেখার পর মালিককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এত অপরিচ্ছন্ন কেন? খাবারে মাছি, ইঁদুর ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন?’’ ফুড ইনস্পেক্টরের সেই প্রশ্ন শুনে রেস্তরাঁর মালিক উত্তর দিয়েছিলেন, ‘‘ম্যাডাম, ওসব আমাদের পোষা।’’ মালিকের এ কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান ফুড ইনস্পেক্টর! সাত দিনের মধ্যে পরিস্থিতি না শুধরানোর চেষ্টা করলে রেস্তরাঁর লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসেন ফুড ইনস্পেক্টর।