Advertisement
E-Paper

আল ফালাহ্‌-র প্রতিষ্ঠাতার সেই পৈতৃক সম্পত্তির বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষপ নয়! স্থগিতাদেশ মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তের মাঝেই আল ফালাহ্‌-র প্রতিষ্ঠাতার পৈতৃক সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। মধ্যপ্রদেশের মহু ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অভিযোগ, ওই ভবনের একাংশ বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:১৮
ফরিদাবাদের আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ। দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর থেকে তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।

ফরিদাবাদের আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ। দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর থেকে তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। — ফাইল চিত্র।

আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা তথা আচার্য জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দীকীর পৈতৃক সম্পত্তির বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। জানিয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। মধ্যপ্রদেশের মহুতে মুকেরি মহল্লায় সিদ্দীকীর একটি পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়ির একটি অংশ বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই অংশ ভেঙে ফেলার জন্য সম্প্রতি মহু ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড থেকে নোটিস পাঠানো হয় সিদ্দীকীর পৈতৃক বাড়িতে। তবে হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, এখনই ওই ভবনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে না। মহু ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত।

দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের পর থেকে তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়। গাড়ি বিস্ফোরণের ঠিক আগেই ফরিদাবাদ থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। ঘটনাচক্রে, দুই ঘটনার সঙ্গে যে চিকিৎসকদের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের অনেকেই আল ফালাহ্‌-র সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত ছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগও উঠে এসেছে। তা নিয়ে পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সিদ্দীকীকে গ্রেফতারও করেছেন ইডির আধিকারিকেরা।

এই বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তের মাঝেই আল ফালাহ্‌-র প্রতিষ্ঠাতার পৈতৃক সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। মহু ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অভিযোগ, ওই ভবনের একাংশ বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এই মর্মে গত বুধবার ওই বাড়িতে নোটিস পাঠানো হয়। অবৈধ ভাবে তৈরি করা অংশ তিন দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ৫৯ বছর বয়সি আব্দুল মজিদ। সিদ্দীকীর ওই আত্মীয়ই বর্তমানে মহুর বাড়িতে থাকেন।

আদালত জানিয়েছে, ভবনের ওই অবৈধ অংশ ভাঙার জন্য আগেও নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তবে তা ১৯৯৬-৯৭ সালে। অর্থাৎ, প্রায় ৩০ বছর আগে। তার পরে এখন আবার নোটিস জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় কোনও পদক্ষেপ করার আগে মামলাকারী পক্ষকে নিজের বক্তব্য শোনানোর অধিকার দেওয়া উচিত। তাই মামলাকারীকে ১৫ দিনের মধ্যে নিজের বক্তব্য এবং উপযুক্ত নথিপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই প্রক্রিয়া হয়ে সম্পূর্ণ হওয়া এবং তার পরের আরও ১০ দিন পর্যন্ত মামলাকারী পক্ষের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়েছে হাই কোর্ট।

Madhya Pradesh Mhow Haryana Faridabad
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy