Advertisement
E-Paper

পরিকল্পনা ২০২৩ সালে! দু’বছর ধরে বোমার উপকরণ জোগাড়, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে জেরায় আর কী দাবি ধৃত চিকিৎসকের

তদন্তকারীদের একটি সূত্র বলছে, গুরুগ্রাম এবং হরিয়ানার নুহ্‌ থেকে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে ২৬ কুইন্টাল ইউরিয়া সার কিনেছিলেন মুজাম্মিল। সূত্রের খবর, সেই সার থেকে ইউরিয়া তৈরির দায়িত্ব ছিল উমরের উপরে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৮
দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণস্থলে নমুনা সংগ্রহ।

দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণস্থলে নমুনা সংগ্রহ। — ফাইল চিত্র।

দেশের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল জইশের সঙ্গে যুক্ত ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গিগোষ্ঠীর। আর সেই ছক প্রথম তৈরি হয়েছিল ২০২৩ সালে। ধৃত চিকিৎসকেরা জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন বলে এনআইএ সূত্রে খবর। দিল্লি বিস্ফোরণে তারাই তদন্ত করছে। এনআইএ-র সূত্র বলছে, গত দু’বছর ধরে ধীরে ধীরে বিস্ফোরকের মশলা জোগাড় করেছেন অভিযুক্তেরা। সাজিয়েছেন ছক।

দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে আই ২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। প্রাণ হারান ১৩ জন। ওই গাড়িতে বসেছিলেন চিকিৎসক তথা আত্মঘাতী বোমারু উমর মহম্মদ। সেই উমরের সহযোগী চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল এখন এনআইএ-র হেফাজতে। এনআইএ-র একটি সূত্র বলছে, শাকিল জেরায় দাবি করেছেন, গত দু’বছর ধরে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছিলেন তাঁরা। এই দু’বছর ধরে বিস্ফোরক, রিমোট, বোমা তৈরির অন্যান্য সরঞ্জাম জোগাড় করছিলেন তাঁরা।

এনআইএ সূত্রের খবর, মুজাম্মিলের দায়িত্ব ছিল ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জোগাড় করার। এগুলির সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ অন্য সরঞ্জাম মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করা হয়। তদন্তকারীদের একটি সূত্র বলছে, গুরুগ্রাম এবং হরিয়ানার নুহ্‌ থেকে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে ২৬ কুইন্টাল ইউরিয়া সার কিনেছিলেন মুজাম্মিল। সূত্রের খবর, সেই সার থেকে ইউরিয়া তৈরির দায়িত্ব ছিল উমরের উপরে। যে চারটি মিলে সার পেষাই করে ইউরিয়া তৈরি করেছিলেন উমর, সেগুলিও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে খবর।

দিল্লি বিস্ফোরণে যে খরচ হয়েছিল, তা জুগিয়েছিলেন অভিযুক্তেরাই। এমনটাই বলছে এনআইএর সূত্র। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সদস্যেরা বিস্ফোরকের সরঞ্জাম কিনতে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। সূত্র বলছে, সেই টাকা উমরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উমর নিজে দিয়েছিলেন ২ লক্ষ টাকা, এমনটাই জেনেছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের দাবি, মুজাম্মিল দেন ৫ লক্ষ টাকা। গোষ্ঠীর অন্য সদস্য আদিল রাথের দেন আট লক্ষ টাকা। মুজফ্‌ফর রাথের দেন ৬ লক্ষ টাকা। লখনউয়ের শাহীন শাইদ দিয়েছিলেন ৫ লক্ষ টাকা। উমর বিস্ফোরণে আত্মঘাতী। বাকিরা এখন এনআইএ-র হেফাজতে।

তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, জেরায় মুজাম্মিল স্বীকার করেছেন, সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি একে-৪৭ রাইফেল কিনেছিলেন তিনি। পরে আদিলের লকার থেকে তা উদ্ধার হয়। নিজের হ্যান্ডলারের নামও জানিয়েছেন মুজাম্মিল। তাঁর হ্যান্ডলারের নাম মনসুর। উমরের হ্যান্ডলারের নাম হাশিম। সূত্র বলছে, এই দুই হ্যান্ডলারই ইব্রাহিম নামে একজনের অধীনে কাজ করতেন। গোয়েন্দারা আরও জানতে পেরেছেন, শাকিল, আদিল, মুজফ্‌ফর ওকাসার নির্দেশে তুরস্কে গিয়েছিলেন। এই ওকাসা তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তানের সদস্য। আফগানিস্তানে প্রবেশের পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু হ্যান্ডলারেরা সাহায্য করেননি বলে তা আর হয়ে ওঠেনি। ওকাসা টেলিগ্রামের মাধ্যমে মুজাম্মিলের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।

Delhi Blast NIA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy