স্কুলের একটিই দেওয়াল রং করা হবে। তার জন্য লাগবে চার লিটার রং। আর ২৩৩ জন মিস্ত্রি। আরও স্পষ্ট করে বললে, ১৬৮ জন জোগাড়ে এবং ৬৫ জন রাজমিস্ত্রি। এর জন্য খরচ ১.০৭ লাখ টাকা!
এ তো গেল স্কুলের ঘটনা। আর একটি স্কুলে চারটি দরজা ও ১০টি জানলা রং করা হবে। তার জন্য ২৭৫ জন জোগাড়ে এবং ১৫০ জন রাজমিস্ত্রি। আর ২০ লিটার রঙের জন্য খরচ ২.৩ লাখ টাকা।
দুই স্কুলের কীর্তিতে জোর শোরগোল পড়ল মধ্যপ্রদেশে। প্রথম স্কুলটি শাহদোল জেলার সাকান্দি গ্রামে। আর দ্বিতীয়টি নিপানিয়া গ্রামে। এই দুই স্কুলে রঙের কাজের বিলের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই বিলের ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দুই স্কুলেই রঙের কাজ করেছে ‘সুধাকর কনস্ট্রাকশন’ নামে একটি নির্মাণ সংস্থা। বিল তৈরি হয়েছে চলতি বছরের ৫ মে। নিপানিয়া গ্রামের স্কুলটির বিলে দেখা যাচ্ছে, সেটি বিল তৈরি হওয়ার মাসখানেক তাতে অনুমোদন দিয়েছিলেন স্কুলের অধ্যক্ষ।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, যে ভাবে বিল ছেড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ, তা নিয়ম-বহির্ভূত। নিয়ম হল, কাজ ঠিকঠাক হয়েছে কি না, তার ছবিও দিতে হয় বিলের সঙ্গে। সেই ছবি দেখে, সব কিছু যাচাই করে তবেই বিল ছাড়ার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়া জেলা স্কুল পরিদর্শক ফুল সিংহ মারপাচি জানান, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘দু’টি স্কুলের বিলের ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তদন্ত করে দেখা যাচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ পেলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’