ট্রেনের বাতানুকূল প্রথম শ্রেণি কামরায় স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লি যাচ্ছিলেন মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী জয়ন্ত মালাইয়া। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মথুরার কাছে সশস্ত্র ডাকাতদের পাল্লায় পড়লেন তাঁরা। সর্বস্ব লুট হল তাঁদের। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। জব্বলপুর থেকে দিল্লিগামী ট্রেনট্রির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন আরপিএফ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের মুখপাত্র অনিল সাক্সেনা।
সংসদের বাইরে বৃহস্পতিবার ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জয়ন্তর স্ত্রী তথা বিজেপি কর্মী সুধা মালাইয়া বলেন, “দামো থেকে থেকে জব্বলপুর-নিজামুদ্দিন এক্সপ্রেসে উঠেছিলাম। আজ ভোর চারটে নাগাদ কুপে ঠকঠক শব্দ শুনতে পাই। দরজা খুলতেই ছুরি হাতে ঢুকে পড়ে এক দুষ্কৃতী। পিছনে আরও চার।” সুধার হাত ব্যাগ, সোনার চেন এবং হাতের আংটি কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। ছিনিয়ে নেওয়া হয় জয়ন্তর ব্যাগও। নগদ কুড়ি থেকে বাইশ হাজার টাকা ছিল তাতে। সুধার বাঁ হাতের আংটিও খুলে দিতে বলে দুষ্কৃতীরা। আংটিটি চেপে থাকায় আঙ্গুল কেটে দেওয়ার হুমকিও দেয়। জয়ন্ত-সুধার কুপে তাণ্ডব চালিয়ে আশপাশের কুপেও হামলা চালায় ওই ডাকাতদল। এমন সময় চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে দেন এক যাত্রী। আরপিএফ কর্মীরা আসতেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক ভাবে হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনে একটি অভিযোগ করেন সুধা মালাইয়া। পরে তা পাঠানো হয় মথুরা রেলপুলিশের কাছে।
আরপিএফ কর্মীদের কর্তব্যে গাফিলতির প্রশ্নে অবশ্য সুধা বলেছেন, তাঁদের তৎপরতার জন্যই রক্ষা পেয়েছেন অন্য যাত্রীরা। সুধা এ-ও জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সঙ্গে দেখা করে ট্রেনে ডাকাতির ঘটনার জানাবেন তিনি। সংসদে এ দিন অধিবেশনে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন বিজেপির সাংসদ প্রহ্লাদ পটেল। দিল্লি পুলিশও এ বিষয়ে এফআইআর দায়ের করেছে। আপাত ভাবে সুরক্ষিত বাতানুকূল কামরাতেও ডাকাতির ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রেলের যাত্রী সুরক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy