বাড়ির পাশে মাঠ। সেখানে গণেশ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। পুজোমণ্ডপে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছিল মহারাষ্ট্রের বছর দশকের শ্রাবণ অজিত গাভাড়ে। আচমকা বুকে একটা অস্বস্তি অনুভব করে সে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ছুটে গিয়ে তাকে কোলে তুলে নেন তার মা। চোখেমুখে জল দেওয়া, ডাক্তার ডেকেও কোনও লাভ হয়নি। মায়ের কোলেই মৃত্যু হয় শ্রাবণের।
কী ভাবে শ্রাবণের মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে চিকিৎসকদের অনুমান, খেলতে খেলতেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয় শ্রাবণ। মৃত্যু হয় প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। ছোট্ট শ্রাবণের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের কোলাপুর জেলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত শ্রাবণ। তারা দুই ভাই এবং এক বোন। তবে চার বছর আগে বোনকে হারিয়েছিল শ্রাবণ। তিন সন্তানের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না শ্রাবণের বাবা-মা।
গত জুলাই মাসে রাজস্থানের সিকারের বাসিন্দা ৯ বছরের একটি মেয়ের মৃত্যু হয়েছি হৃদ্রোগে। স্কুলে টিফিনের সময়েই ঘটে অঘটন। ক্লাসে বসে খাবার খাওয়ার সময়ে বুকে ব্যথা শুরু হয়। তার পরেই জ্ঞান হারায় মেয়েটি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েই আরও এক বার হার্ট অ্যাটাক হয়। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাজস্থানের আগে বেঙ্গালুরুতেও এমন ঘটনা ঘটেছে মাস কয়েক আগে। ক্লাসে বসেই আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বছর আটেকের এক শিশুকন্যার। এ বার হৃদ্রোগে আক্রান্ত মৃত্যু হল দশেকের শ্রাবণের ।
আরও পড়ুন:
সাম্প্রতিককালে, শুধু বড়দের নয়, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা শিশুদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। শিশুদের ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা দু’প্রকারের হয়ে থাকে। প্রথমটি হল জন্মগত। আর দ্বিতীয়টি জন্মের পরে হওয়া সমস্যা। এ ব্যাপারে বাবা-মা বা পরিবারের লোকেদের আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।