Advertisement
E-Paper

‘বিড়ি-বিহার’ বিতর্ক: ভুল স্বীকার করল কেরল কংগ্রেস, পদ থেকে ইস্তফা সোশ্যাল মিডিয়া ইনচার্জের

দিন তিনেক আগে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর দেশের নতুন কর কাঠামোর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। নতুন কর কাঠামোয় সিগারেট, গুটখা, পানমশলার মতো তামাকজাত দ্রব্য নরেন্দ্র মোদীর সরকার ৪০ শতাংশ কর আরোপ করলেও তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে বিড়িকে। সেই নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ায় কংগ্রেস।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:০৬
Kerala Congress\\\'s social media chief resigns amid Bidis-Bihar debate

‘বিড়ি-বিহার’ বিতর্কের পর কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার ইনচার্জের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ভিটি বলরাম। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

‘বিড়ি ও বিহার’ বিতর্কে এ বার মুখ খুলল কেরল প্রদেশ কংগ্রেস। সমাজমাধ্যমে কেন্দ্রের পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করতে গিয়ে ‘ভুল’ হয়েছে বলে স্বীকার করলেন কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান সানি জোসেফ। ‘সতর্কতার অভাবের’ কথাও বলেন তিনি। অন্য দিকে, ‘বিড়ি ও বিহার’ পোস্ট নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার ইনচার্জের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ভিটি বলরাম।

দিন তিনেক আগে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর দেশের নতুন কর কাঠামোর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। সেখানে কিছু জিনিসের উপর কর বেড়েছে, কিছু ক্ষেত্রে কমেছে। নতুন কর কাঠামোয় সিগারেট, গুটখা, পানমশলার মতো তামাকজাত দ্রব্যে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ৪০ শতাংশ কর আরোপ করলেও তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে বিড়িকে। কেন বিড়িকে জিএসটি তালিকা থেকে বাদ রাখা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেরল প্রদেশ কংগ্রেস। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে লেখা হয়, ‘‘বিহার আর বিড়ি দুটোই শুরু হচ্ছে ‘বি’ দিয়ে। তাই নাকি এতে কোনও পাপ নেই।’’

অনেকের মতে, বিহারে আসন্ন বিধানসভা ভোটকে নজরে রেখেই বিড়ির উপর জিএসটি বসায়নি বিজেপি সরকার, এমনই ইঙ্গিত ছিল কংগ্রেসের। তবে বিহারের সঙ্গে বিড়ির তুলনা করায় সমালোচনার মুখে পড়ে রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। বিহারে এখন ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ করছেন রাহুল। জনসংযোগের এক মাধ্যম হিসাবেই বিহারের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে চাইছেন কংগ্রেস নেতা। সেই আবহে কেরল কংগ্রেসের ‘বিড়ি-বিহার’ অস্বস্তিতে ফেলেছে শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দলকে। বিহারে তো বটেই দেশের অন্যান্য প্রান্তেও এনডিএ শিবিরের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে।

বিতর্ক শুরু হতেই পোস্টটি সমাজমাধ্যম থেকে মুছে ফেলা হয়। তবে তার পরেও বিতর্ক থামেনি। শনিবার দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে যান বলরাম। সূত্রের খবর, কেন এবং কী ভাবে ওই পোস্ট করা হল, তা নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। দলীয় নেৃত্বের সঙ্গে দেখা করার পরই কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার ইনচার্জের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। গত বছর এই দায়িত্বে এসেছিলেন বলরাম।

GST Kerala Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy